ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি কারখানায় আচমকা পরিদর্শনে শ্রম দপ্তরের কর্তারা

ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি কারখানায় আচমকা পরিদর্শনে শ্রম দপ্তরের কর্তারা

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: গ্রিন জোন ঝাড়গ্রাম জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। কল কারখানা খুলেছে। উৎপাদন হচ্ছে। তবে এই অবস্থায় কেমন ভাবে কাজ করছেন শ্রমিকেরা? শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য কী-কী পদক্ষেপ নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ? বুধবার জেলার চারটি কারখানা পরিদর্শন করে এসবই খতিয়ে দেখল শ্রম দপ্তরের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল।

ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন কারখানা অধিকরণের হলদিয়া কার্যালয়ের সহ-অধিকর্তা দেবায়ন দে, ঝাড়গ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি শ্রম কমিশনার বিতান দে ও জেলার সহকারি শ্রম কমিশনার সৌম্যনীল সরকার। এদিন প্রথমে তাঁরা জিতুশোলের একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা পরিদর্শনে যান। সেখানে কারখানা সম্প্রসারণের কাজে উপযুক্ত সুরক্ষাবিধি মেনে চলার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন লোধাশুলির একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা, মানিকপাড়ার একটি কাগজ কল এবং সাঁকরাইলের তুঙ্গাধুয়ার একটি অ্যাসবেসটস কারখানাও পরিদর্শন করেন দেবায়নবাবুরা। কারখানা গুলিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে শ্রমিকদের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি কারখানায় আচমকা পরিদর্শনে শ্রম দপ্তরের কর্তারা

সেই সঙ্গে কারখানাগুলির সুরক্ষা বিধি বাড়াতে বলা হয়। শ্রম দপ্তরের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, উপযুক্ত সুরক্ষাবিধি মেনে কারখানাগুলিতে কাজ করতে বলা হয়েছে। লোধাশুলির একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা ও মানিকপাড়ার একটি কাগজ তৈরির কারখানার কর্তৃপক্ষ আধিকারিকদের কারখানার উপযুক্ত নথিপত্র দেখাতে পারেননি। আগামী সাতদিনের মধ্যে দপ্তরে নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিটি কারখানায় বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিতেও বলা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি শ্রম কমিশনার বিতান দে বলেন, ‘‘কারখানা গুলিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি এবং সুরক্ষাবিধি উপযুক্ত ভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি-না সেটা দেখতেই এদিন চারটি কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button