ঝাড়গ্রাম

অকালে ঝরে গেল ডালিয়া, করোনা পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন বাবা-মা

অকালে ঝরে গেল ডালিয়া, করোনা পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন বাবা-মা

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: লকডাউনের পরিস্থিতির জন্য অকালে ঝরে গেল ডালিয়া! পাঁচ মাস বয়সী ওই কন্যাশিশুর মৃত্যুর জন্য করোনা পরিস্থিতিকেই দায়ী করছেন অভিভাবকরা। ঝাড়গ্রাম ব্লকের দুধকুণ্ডি অঞ্চলের কলসিভাঙা গ্রামের বাসিন্দা চিন্ময় মাহাতো ও চম্পাবতী মাহাতোর প্রথম সন্তান ছিল ডালিয়া। চিকিৎসকদের ধারণা, ডালিয়ার জন্মগত হার্টের সমস্যা ছিল।

জন্মের কয়েক মাস পর থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় শিশুটির। লকডাউনের সময়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য মেয়েকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন চিন্ময় মাহাতো। কিন্তু হাসপাতালে শিশুবিশেষজ্ঞ সেদিন না থাকায় বেসরকারি এক চিকিৎসকের চেম্বারে মেয়েকে দেখান তিনি। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে ডালিয়ার সমস্যা দেখে ইকোকার্ডিওগ্রাফী করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু করোনার জন্য কোথাও ওই পরীক্ষা করাতে পারেননি শিশুটির অভিভাবকেরা। জামাইষষ্ঠীর দিন বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝাড়গ্রামের বহড়াকোঠা গ্রামে মামার বাড়িতে এসেছিল ডালিয়া। তারপরে সে মায়ের সঙ্গে সেখানেই ছিল। বহড়াকোঠা গ্রামে মামার বাড়িতে থাকাকালীন মঙ্গলবার দুপুরে ডালিয়ার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

গাড়ি ভাড়া করে শিশুটিকে ঝাড়গ্রামের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নার্সিংহোমে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় শিশুটিকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ডালিয়াকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে ডালিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটির শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল জেনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা পরীক্ষার জন্য মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান। পরীক্ষার রিপোর্ট অবশ্য নেগেটিভ হয়। বৃহস্পতিবার শিশুটির মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। প্রথম সন্তানের এমন দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর পরে ভেঙে পড়েছেন চিন্ময় মাহাতো ও তাঁর স্ত্রী চম্পাবতী মাহাতো।

আরও পড়ুন ::

Back to top button