ভারতবর্ষকে শেষ করে দিলো মাথামোটা প্রধানমন্ত্রী, ৫০ লক্ষ হবে করোনা : অনুব্রত মণ্ডল !
নিজস্ব প্রতিনিধি : সামনের একুশে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। বিগত কয়েকবছরে বাংলায় তৃণমূলের প্রধান প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে আশাতীত ভালো ফল করেছিলো বিজেপি।
মোট ১৮ টি আসন দখল করে তারা। বাংলা থেকে দুজন মন্ত্রীও ঠাঁই পায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। তৃণমূল প্রথমে বিজেপি কে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে স্বীকার না করলেও বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম কে পেছনে ফেলে রাজ্যে দু নম্বর হয়ে উঠেছে।
শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা অহরহ পশ্চিমবঙ্গে ঢু মারছেন।এই আবহেই এক দলীয় সভায় বিজেপি কে একহাত নিলেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।
রবিবার বীরভূমের সিউড়ির ২ নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত রাইস মিলের মাঠে সামাজিক দুরত্ববিধি মেনে দলীয় সভা করেন অনুব্রত মন্ডল।
এই সভা থেকেই একের পর এক জ্বালাময়ী বাক্য ছুড়ে দেন কেন্দ্রীয় শাসকদলের প্রতি।প্রথমেই অনুব্রত মন্ডল দেশে বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র সরকার কে দায়ী করেন।
তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিবেচনাহীন পদক্ষেপেই করোনার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে, মানুষের জীবন জীবিকার হানি হয়েছে। সভাস্থলে দাঁড়িয়ে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে অনুব্রত বলেন, “মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন বিদেশের বিমান বাতিল করতে।
তিনি বলেছিলেন পাঁচ দিন সবরকম ট্রেন চালিয়ে লকডাউন করতে। যাতে করে অন্য রাজ্যে আটকে থাকারা বাড়ি ফিরতে পারেন। তাতে করোনা বাড়বে না। কিন্তু মাথামোটা প্রধানমন্ত্রী কথাটা শুনলেন না।
আজ ভারতবর্ষকে শেষ করে দিলো।”দেশে বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে বলেন, “আজ করোনা কত জানেন? ৩ লক্ষ। হবে কত? ৫০ লক্ষ করোনা হবে ভারতবর্ষে।
এক ভয়ঙ্কর জায়গায় চলে যাবে ভারতবর্ষ। এর দায়ী কে বলুন তো? একমাত্র নরেন্দ্র মোদি। কোন নীতি নাই, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিথ্যা কথা বলে। একটাও সত্যি কথা বলে না।
মানুষের কোন উপকার করে নাই। প্রথম দিন থেকে বলে দিলো আমরা এক কেজি করে ডাল দেব, এখনো দিতে পারে নাই। এখনো দিতে পারে নাই। একটা মিথ্যাবাদী সরকার।”কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যকে ১১০০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
অনুব্রত সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “কদিন আগে অমিত শাহ ঘোষণা করে বললো আমরা পশ্চিমবাংলাকে ১১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কাদের দেওয়ার জন্য বললো? সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ সবার জন্য।
আচ্ছা একটা কথা আপনারা বলুন তো, ১১ হাজার কোটি টাকা যদি ৯ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে দিয়ে থাকে তাহলে এক একটা লোক ১২০০ টাকা করে পেয়েছেন।
কারোর অ্যাকাউন্টে ১২০০ টাকা করে ঢুকেছে? একজন দাঁড়িয়ে বলুন যে ১২০০ টাকা ঢুকেছে। একটা মিথ্যাবাদী কথা বলে দিলেন।”যদিও অনুব্রত মন্ডলের এই বক্তব্যকে সম্পুর্ন নস্যাৎ করে দিয়ে বিজেপির বীরভূমের জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনা বেড়েছে তার কারণ রাজ্য সরকার লকডাউন ঠিক ঠাক করতে পারেনি।