রাজ্য

বাড়িতে করোনা হানা, স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে গেলেন মদন মিত্র !

বাড়িতে করোনা হানা, স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে গেলেন মদন মিত্র !

 

ওয়েবডেস্ক : আবারও তৃণমূলের ঘরে হানা মারণ ভাইরাসের। রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর পরে এবার মারণ ভাইরাস হানা দিল রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের বাড়িতে। আর তার জেরেই মদনবাবু স্বেচ্ছায় চলে গেলেন আইসোলেশনে।

ঘটনাচক্রে সুজিতবাবুর ক্ষেত্রে যেমন তাঁর বাড়ির এক পরিচারিকা মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি নিজে আইসোলেশনে চলে গিয়েছিলেন এখানেও তেমনি মদনবাবুর বাড়ির এক পরিচারিকা মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি আইসোলেশনে চলে গিয়েছিলেন।

সুজিতবাবু যখন আইসোলেশনে গিয়েছিলেন তখন তাঁর দেহে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না, একই রকম ভাবে মদনবাবু যখন আইসোলেশনে গেলেন তখন তাঁরও দেহে কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। জানা গিয়েছে, মদনবাবুর ভবানীপুরের পৈতৃক বাড়িতে এক পরিচারিকা করোনায় আক্রান্ত হন।

রবিবার তাঁর লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই ওই বাড়ি ছেড়ে মদনবাবু চলে যান তাঁর কামারহাটির বাড়িতে। সেখানেই তিনি এখন আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে আমকজনতা যাতে চিন্তিত না হন তাঁর জন্য বাড়ি থেকেই ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি জানিয়েছেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই।

বাড়িতে করোনা হানা, স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে গেলেন মদন মিত্র !

 

আপাতত সুস্থই রয়েছেন তিনি। তাঁর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ নেই। তা সত্ত্বেও সতর্কতার কারণে নিজেকে তিনি আইসোলেট করে রেখেছেন। তবে বাড়িতে থেকেই দলের কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী।

সেই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে , বাড়ি থেকেই তিনি কথা বলবেন অনুগামীদের সঙ্গে। বিজেপির কর্মসূচির দিকেও নজর রাখবেন। রাজনৈতিক লড়াইও চালাবেন বাড়িতে বসেই। বিজেপিকে তাঁর হুঁশিয়ারি, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তারা যেন দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা না করে। তাহলে তিনি পিপিই পরে রাস্তায় নেমে তাদের ঠেকাতে পিছপা হবেন না।

তবে ঘটনা হচ্ছে সুজিতবাবু যখন নিজেকে আইসোলেটে করেছিলেন তখন তাঁর করোনার কোনও উপসর্গ না থাকলেও পরে করোনার টেস্টে ধরা পড়ে যে তিনি সংক্রমিত। এরপর এক এক করে তাঁর পরিবারের সব সদস্যরাই সংক্রমিত হিসাবে ধরা পড়েন।

এমনকি সুজিতবাবু নিজে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তিও হন। মদনবাবুর ক্ষেত্রেও নিয়মিত নজরদারি চালাবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেই সঙ্গে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও নিয়মিত করোনা টেস্ট করা হবে। সব দিক দিয়েই লক্ষ্য রাখা হবে যাতে তিনি বা তাঁর পরিবারের কোনও রকম বিপদ না হয়।

সুত্র: এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button