রাজনীতি

চিনের মিডিয়া মোদীকে কেন বাহবা দিচ্ছে, , প্রশ্ন রাহুলের !

চিনের মিডিয়া মোদীকে কেন বাহবা দিচ্ছে, , প্রশ্ন রাহুলের !

 

ওয়েবডেস্ক :: প্রশ্ন, বিবৃতি, তির্যক বাক্য- চিন ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীর উপর চাপ তৈরি করার ধারাবাহিকতা বজায় রইল সোমবার বিকেলও। এদিন সকালে পরিশীলিত ভাষায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

বিকেলে ফের একবার মোদীকে নিশানা করে প্রশ্ন তুললেন রাহুল গান্ধী। চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে। তা ছাড়া চিনের অন্যান্য ও খবরের কাগজও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ফলাও করে ছেপেছে।

তাই নিয়েই প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। টুইটে রাহুল লেখেন, ‘চিন আমাদের সেনাদের মেরেছে। আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করেছে। তাহলে কেন এই সংঘাতের পরিস্থিতিতে চিন (পড়ুন চিনা সংবাদমাধ্যম) প্রধানমন্ত্রীর নামে ধন্য ধন্য করছে?’

সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, ‘কেউ আমাদের সীমানায় ঢোকেনি। আমাদের সেনা চৌকিও কেউ দখল করেনি।’ তারপর থেকেই বিরোধী নেতারা একের পর এক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। রাহুল গান্ধী থেকে সীতারাম ইয়েচুরি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি আমাদের সীমানায় নাই ঢোকে তাহলে আমদের সেনাদের প্রাণ গেল কী করে?

প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামতে হয় তাঁর সচিবালয়কে। একের পর এক টুইট করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করে পিএমও। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের মতে, ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। মোদীর মুখের কথা খপ করে ধরে ফেলেছে বেজিংও।

কারণ, শুরু থেকেই চিন বলছে, তাদের সেনারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেনি। সমালোচকদের অনেকের মতে, মোদীর ওই বক্তব্য যেন বেজিংয়ের বিবৃতিতে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে।

গতকালই রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী আসলে সারেণ্ডার মোদী।’ অর্থাত্‍ বোঝাতে চান, সীমান্তে লাল ফৌজের সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও তার পাল্টা অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘আত্মসমর্পণ করা গান্ধী পরিবারের হলমার্ক!’

এদিন মনমোহনও মোদীর উদ্দেশে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন কিছু বলবেন বা বিবৃতি দেবেন তখন শব্দ চয়নের ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। মনমোহন আরও বলেন, মিথ্যা তথ্য দেওয়া কূটনীতি নয়।

তা বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাজও নয়।’ মনমোহনের পাল্টা বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে হেয় করা বন্ধ করুন। তাঁদের সাহস নিয়ে প্রশ্ন তোলা থামান। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বিমানহানার পরও একই জিনিস করেছিলেন।’

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাহুল ফের প্রশ্ন তুলে বুঝিয়ে দিলেন, জাতীয়তাবাদ আর দেশপ্রেমের অস্ত্রকেই বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে কংগ্রেস।

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button