Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
প্রযুক্তি

সীমান্তে যাই ঘটুক, ভারতে মার খাবে না শাওমির ব্যবসা, জানালেন শাওমির এমডি !

সীমান্তে যাই ঘটুক, ভারতে মার খাবে না শাওমির ব্যবসা, জানালেন শাওমির এমডি !

 

ওয়েবডেস্ক : লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের পরে দেশ জুড়ে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে চিনা সংস্থা শাওমিকে।

যদিও ওই মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতা সংস্থার ভারতীয় শাখার কর্তারা মনে করছেন, এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে তাঁদের ব্যবসার বিশেষ ক্ষতি হবে না। শাওমির ভারতীয় শাখার এমডি মনু জৈনের দাবি, যে কোনও ভারতীয় হ্যান্ডসেট নির্মাতা সংস্থার তুলনায় শাওমি বেশি ভারতীয়।

মনু জৈন এক সাক্ষাত্‍কারে বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে একটি বিশেষ অঞ্চলের কোম্পানিগুলি ব্যাকল্যাশের মুখে পড়েছে। লকডাউন কিছুদিন চলার পরে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আমরা জানি, মানুষ রেগে গিয়েছেন। সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাগ আরও বেড়েছে।’

পরে তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় একধরনের ভিড়ের মানসিকতা লক্ষ করা যাচ্ছে।’ মনু জৈন স্বীকার করে নেন, তাঁরা এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। কোম্পানি এখনও নিরাপত্তা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি।

কোম্পানির দোকান, অফিস এবং কারখানার বাইরে বাড়তি নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়নি। কয়েকটি দোকানের বাইরে ছোটখাট বিক্ষোভ হয়েছে বটে, কিন্তু তা নিছকই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। শাওমির ম্যানেজিং ডিরেক্টর দাবি করেন, তাঁদের সংস্থায় এদেশের ৫০ হাজার মানুষ কাজ করেন।

ভারতের মানুষের কোনও তথ্যও বিদেশে যায় না। সেদিক থেকে বলতে গেলে, শাওমি যে কোনও ভারতীয় মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতার চেয়ে বেশি ভারতীয়। মনু জৈনের দাবি আমেরিকা ও অন্যান্য হ্যান্ডসেট নির্মাতা সংস্থাও চিন থেকে হ্যান্ডসেট আমদানি করে।

তার ওপরে নিজেদের কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে বিক্রি করে ভারতে। তাঁর কথায়, ‘যাঁরা চিনের বদলে আমেরিকান ব্র্যান্ড ব্যবহারের কথা বলছেন, তাঁরা জানেন না, আমেরিকান কোম্পানিগুলিও চিন থেকে ১০০ শতাংশ হ্যান্ডসেট আমদানি করে।

তার ওপরে নিজেদের লেবেল লাগিয়ে বাজারে বিক্রি করে। অনেক ভারতীয় ব্র্যান্ডও তাই করে।’ গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সৈনিকদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ২০ জন ভারতীয় সেনা মারা যান।

তার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চিনা পণ্য বয়কটের জন্য প্রচার শুরু হয়। গত সপ্তাহে শাওমি ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা অপ্পোর অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মনু জৈনের দাবি, যারা সস্তায় পাবলিসিটি চায়, তারাই বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button