রাজনীতিরাজ্য

এবার তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যু নিয়ে ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ

এবার তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যু নিয়ে ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ

ফের বেলাগাম হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের মৃত্যু প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন তিনি। আবার দিলীপের কুকথার জবাব দিতে গিয়ে বেলাগাম হলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও।

এদিন তমোনাশের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ বলেন, “শুধু তমোনাশ ঘোষ নন, তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক অসুস্থ হচ্ছেন। তার মানে সরকারি পক্ষের নেতা, বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রীরা কোনও লকডাউন বা সামাজিক দূরত্ব মানছেন না।’’ এরপরই রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে দিলীপ বলেন, “দুর্ভাগ্যের বিষয়, রাজ্য সরকারের এক জন বিধায়ক, তাঁকে এক মাসে বাঁচিয়ে তোলা গেল না! তার মানে এই সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার স্থান খুবই নীচে নেমে গিয়েছে। এক জন ভিআইপির প্রাণও বাঁচানোর ক্ষমতা এঁদের নেই। তা হলে বুঝতে পারছেন, সাধারণ মানুষের অবস্থা কী হচ্ছে!’’ রাজ্যের আরও কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘কেস আমরা খাচ্ছি, আমরা নাকি মানছি না। অথচ অসুস্থ ওঁরা হচ্ছেন। এ তো বড় বিড়ম্বনা!’’

খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও লকডাউন বা সামাজিক দূরত্ববিধি মানেননি বলে অভিযোগ তুলে দিলীপ এ দিন দাবি করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে মানেননি, বলে দিয়েছিলেন মানার দরকার নেই। তাঁর বাকি নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদরাও মানেননি। তার পরিণামেই অনেকে আজ অসুস্থ।’’ দিলীপ বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, সরকার এত দায়িত্বজ্ঞানহীন, তার নিজের লোকেদেরও রক্ষা করতে পারছে না।’’ দিলীপের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে ফিরহাদ বলেন, “বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি ‘ছোটলোকামির রাজনীতি’ করছেন।”

ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় এক মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button