আন্তর্জাতিক

করোনা বিদায় নিতে এখনও অনেক দেরি: WHO

করোনা বিদায় নিতে এখনও অনেক দেরি: WHO

 

ওয়েবডেস্ক : জেনেভা, এখনই করোনা বিদায়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে জিতে তাকে নিয়েই বেঁচে থাকাটা নিউ নর্মাল জীবন। এমনই মন্তব্য করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আগামী মাসগুলোতেও এভাবেই থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হু।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেডরোস অ্যাডানম ঘেব্রিইয়েসাস জানান সব দেশই এখন কঠিন প্রশ্নের মুখে। ভাইরাসের সঙ্গে বাঁচাটাই এখন নিউ নর্মাল জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংবাদসংস্থা জিনহুয়াকে দেওয়ার টেলিফোনিক সাক্ষাতকারে টেডরোস বলেন মারণ করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ছয় মাস আগেও কেউ বুঝতে পারেনি এভাবে একটা ভাইরাস সবার জীবনের দখল নিয়ে নেবে। গোটা বিশ্বকে পরিচালনা করছে করোনা। এরকম একটা জীবন হতে পারে, ছয় মাস আগেও কেউ কল্পনা করেনি।

কিছু দেশ করোনার বিরুদ্ধে ভালো কাজ করছে বলে জানিয়ে হু প্রধান বলেন গোটা বিশ্বে এখনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০,১৯৯,৭৯৮। মারা গিয়েছেন ৫০২,৯৪৭ জন।

মাত্র ৬ মাসের মধ্যে সারা পৃথিবীতে এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যু আর কোনও রোগে হয়নি। এএফপি জানাচ্ছে, মোট মৃতের তিন ভাগের দুই ভাগ মৃত্যুই ঘটেছে আমেরিকা ও ইউরোপে।

এই মারণ বাইরাস মানবজাতির খারাপ ও ভালো দুই দিকই আমাদের দেখাল বলে মন্তব্য করেছেন হু প্রধান। তিনি বলেছেন একদিকে মানুষ একে অপরের

প্রতি সহমর্মিতা দেখাচ্ছে, পাশে দাঁড়াচ্ছে, একজোট হয়ে লড়াই করছে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে, অন্যদিকে, চোখের সামনে প্রিয়জনের মৃত্যু দেখছে, কাছের মানুষকে আক্রান্ত হতে দেখছে। বাড়ছে সন্দেহ।

প্রাণ বাঁচানোর জন্য জীবনের পাঁচটি দিক এদিন নির্দেশ করেছেন টেডরোস। নিজেকে বাঁচানো, অপরকে বাঁচতে সাহায্য করা, ভাইরাসের চেন সংক্রমণ রোখার মত একাধিক কাজ রয়েছে, যা মানুষের জীবন করোনার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে বলে মত তাঁর।

এদিকে করোনার উত্‍স খুঁজতে চিনে ফের একবার বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। কারণ হু মনে করছে এই ভাইরাসের উত্‍স না জানা গেলে ভাইরাসকে নিধন সম্ভব না।

উল্লেখ্য, এই করোনার উত্‍স সন্ধানে হু-এর টিমকে আমন্ত্রণ জানাতে মে মাস থেকেই চিনকে চাপ দিচ্ছে রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর এই জুলাইয়ে হয়তো চিনে যাবে হু-এর বিশেষ টিম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান একটি ভার্চুয়াল সভায় জানিয়েছেন, ভাইরাসটির উত্‍স জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর বক্তব্য, ভাইরাসটি কীভাবে উত্‍পত্তি হয়েছিল তা যদি আমরা জানতে পারি তবে ভাইরাসের সঙ্গে আরও ভাল ভাবে লড়াই করা যাবে।

তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা এর জন্য আগামী সপ্তাহে একটি দল চিনে পাঠাব এবং আমরা আশা করি, ভাইরাসটি কীভাবে শুরু হয়েছিল তা বুঝতে সক্ষম হব।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button