প্রধামন্ত্রীর ডিজিটাল স্ট্রাইক, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভাষণ দেবেন টিকটকের সিইও
ওয়েবডেস্ক : মোদীর ডিজিটাল স্ট্রাইক ! টিকটক সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই অ্যাপগুলিকে ব্লক করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন নির্দেশের পরেই আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে চাকরির বাজারে।
বহু কর্মী কাজ করে এই সমস্ত সংস্থায়। ফলে একদিকে লকডাউন অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত। এই পরিস্থিতিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল মঙ্গলবার টিকটকের সিইও কেভিন মায়ের কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ইতিমধ্যে টিকটক ইন্ডিয়ার প্রধান নিখিল কর্মীদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন। উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্যে বলেছেন। কর্মীদের উদ্দেশ্যে নিখিল গান্ধী জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও ছাঁটাই হবে না।
আতঙ্কগ্রস্ত কর্মীদের তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই অ্যাপ সম্পর্কে কী উদ্বেগ রয়েছে, তা জানতে কোম্পানি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যাতে উদ্বেগগুলি সম্পর্কে জেনে তার সমাধান করা যায়। খুব শীঘ্রই সরকারের সঙ্গে টিকটক আলোচনায় বসবে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতের অ্যাপের বাজারে টিকটক একটা বড় জায়গা করে নিয়েছে। শুধু মাত্র গত এপ্রিল মাসে গুগল এবং অ্যাপল প্লে স্টোর থেকে সবমিলিয়ে যে ২০ লক্ষ ডাউনলোড হয়েছে। যার বেশিরভাগ অংশ শুধু ভারত থেকে হয়েছে।
তার ৩০ শতাংশের বেশি হয়েছে ভারতে। এদেশ থেকে আরও যে সুবিধাগুলি পায়, সেই বাইটডান্সের মানিটাইজেশন (বৃহত্তম বিদেশী বাজার)-এর শীর্ষে রয়েছে টিকটক ও হেলো। এই উভয় সুবিধা থেকে যৌথভাবে প্রতি ত্রৈমাসিকে ২০-২৪ কোটি টাকার রাজস্ব আসে এবং চলতি বছর রাজস্ব ১০০ কোটি টাকার
লক্ষ্য ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ছিল বলে সূত্র উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাস লকডাউনের সময়ও কোম্পানি কয়েকটি বড় এফএমসিজি, হাইজিন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন কোম্পানির প্ল্যাটফর্মে দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে, অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে চিন। সোমবারই চিনা অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
এরপর মঙ্গলবার এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিও ঝিজিয়াং। তিনি বলেন, আমরা এই বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি।
এদিন তিনি বলেন, ‘আমরা চিনা সংস্থাগুলিতে বারবারই বলে এসেছি আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় আইন মেনে চলছে। ভারত সরকারের উচিত্ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির আইনি অধিকার রক্ষা করা। চিনা সংস্থার ক্ষেত্রেও সেই অধিকার রক্ষা করতে হবে।’
অন্যদিকে, টিকটকের হাত ধরে নয়া ব্যবসা পেতে বসার সুযোগ খুঁজছিল চিনের বাইটডান্স কোম্পানি। তবে সে আশায় আপাতত জল ঢেলে টিকটক সমেত
৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য চিনের বাইটডান্স কোম্পানির শাখা প্রতিষ্ঠান টিকটক। বাইটডান্সের ১০০ কোটির প্রজেক্ট এখন বিশ বাঁও জলে। ফলে বেশ চিন্তায় এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
গত বছর থেকেই ভারতে নয়া শাখা খোলার পরিকল্পনা চালাচ্ছে বাইটডান্স। প্রচুর বিনিয়োগও হয়ে গিয়েছে এই প্রজেক্টের ওপর বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকরা।
ভারতে টিকটকের তুমুল চাহিদা দেখার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে ভারতের বাজার থেকেই টিকটক মোট আয়ের ৩০ শতাংশ পেত ।
সুত্র: কলকাতা24×7