ঝাড়গ্রাম

অভিনব ফিঙ্গার পাপেট উপস্থাপনায় দুই খুদে বোনের ভিডিও ভাইরাল

অভিনব ফিঙ্গার পাপেট উপস্থাপনায় দুই খুদে বোনের ভিডিও ভাইরাল

 

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: অসম্ভবকে সম্ভব করেছে ঝাড়গ্রাম শহরের দুই খুদে বোন। আঙুলের সাহায্যে প্রায় দু’মিনিটের একটি পাপেট শো উপস্থাপন করেছে তারা। কাগজ দিয়ে তারা তৈরি করেছে ফিঙ্গার পাপেট। তারপর সেই পাপেট গুলো আঙুলে পরে ছড়ার সঙ্গে আঙুল নাচিয়ে তারা পরিবেশন করেছে হারাধনের দশটি ছেলের কাহিনী।

ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমির দুই খুদে শিক্ষার্থী ৭ বছরের আরাধ্যা ঘোষ আর তার বোন ৫ বছরের অর্পিতার ফিঙ্গার পাপেট উপস্থাপনা রীতিমতো নজর করেছে নেটিজেনদের।

অ্যাকাডেমির ফেসবুক পেজ-এ পোস্ট করা হয়েছে দুই বোনের ছড়ার সঙ্গে আঙুল নাচিয়ে ফিঙ্গার পাপেটের উপস্থাপনা। দুই খুদের এমন শৈল্পিক উপস্থাপনা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। তাদের ফিঙ্গার পাপেটের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে হোয়াটস্‌অ্যাপ-এও

আরও পড়ুন : দিল্লিতে চালু হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল

ঝাড়গ্রাম শহরের ওয়েস্ট এন্ড ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে আরাধ্যা। ওই স্কুলেরই কেজি টু-র ছাত্রী অর্পিতা। আর্ট অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ সঞ্জীব মিত্র জানালেন, লকডাউনে সংস্থায় হাতে কলমে আঁকা ও হাতের কাজ শেখানো সম্ভব হচ্ছে না। করোনার কারণে তিনমাসের উপর সংস্থা বন্ধ। তাই হোয়াটস্‌অ্যাপ-এ আর্ট অ্যাকাডেমির ভার্চুয়াল ক্লাসে আঁকা ও হাতের কাজ শিখছে আরাধ্যা-অর্পিতার মতো অনেক কচি-কাঁচা। সংস্থার হোয়াটস্‌অ্যাপ

অভিনব ফিঙ্গার পাপেট উপস্থাপনায় দুই খুদে বোনের ভিডিও ভাইরাল

 

গ্রুপে ফিঙ্গার পাপেট তৈরির কৌশল শেখানো হয়। তাই দেখে দুই বোন বাড়িতে বানিয়ে ফেলে হারাধনের দশটি ছেলে। আরাধ্যা ও অর্পিতা দুজনেই দশটি করে কুড়িটি ফিঙ্গার পাপেট তৈরি করে। তারপর ছড়ার সঙ্গে আঙুল‌ নাচিয়ে এক-একটি পাপেট ফেলে দেওয়ার কৌশল আয়ত্ত্ব করে নেয় তারা।

আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে গর্ভস্থ শিশু সহ যুবতীর মৃত্যু, চিকিৎসায় চরম গাফিলতির অভিযোগ

ছড়ার সঙ্গে দুই মেয়ের ফিঙ্গার পাপেট সঞ্চালনের ভিডিও তোলেন পেশায় পুলিশ কর্মী অসীম ঘোষ। আরাধ্যা-অর্পিতার মা সহেলিদেবী হলেন ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নার্স।

হাসপাতালের আবাসনে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে দুই বোন। ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ সঞ্জীব মিত্র বলেন, ‘‘‌আরাধ্যা আর অর্পিতা প্রমাণ করেছে, অধ্যবসায় যে কোনও কাজে সাফল্য এনে দেয়।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button