আন্তর্জাতিক

লাদাখে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানকে সশস্ত্র ড্রোন দিচ্ছে চীন

লাদাখে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানকে সশস্ত্র ড্রোন দিচ্ছে চীন

 

ওয়েবডেস্ক : ইসলামাবাদ, ভারতের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানকে চারটি সশস্ত্র ড্রোন দিচ্ছে চীন। বেইজিং বলছে, চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের (সিপিইসি) সুরক্ষার জন্যই এ ড্রোন সিস্টেম পাঠানো হচ্ছে।

সশস্ত্র ড্রোনের দুটি সিস্টেম দুটি করে ড্রোন এবং একটি গ্রাউন্ড স্টেশন রয়েছে। ওই ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি আক্রমণও চালানো যাবে। ওই ধরনের চীনা ড্রোনগুলো থেকে ১২টি আকাশ থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

ওয়ান বেল্ট-ওয়ান রোড (ওবিওআর) প্রকল্পের আওতায় বিপুল টাকা বিনিয়োগ করে অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করছে চীন। সেই প্রকল্পের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে পাকিস্তানও। ধারণা করা হচ্ছে, বালুচিস্তান প্রদেশের অশান্তি প্রবণ গাদর এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্যই ওই ড্রোন পাঠাচ্ছে চীন। পাশাপাশি গাদর বন্দরে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বেজিংয়ের বাহিনী। তার নিরাপত্তার জন্যই সশস্ত্র ওই ড্রোনের ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন : ভারত-চীন সংঘর্ষ নিয়ে অজয়ের সিনেমা

কলকাতার সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, বিশেষজ্ঞদের মতে, সশস্ত্র ওই ড্রোনগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফলে আমেরিকা ওই একই ধরনের প্রিডেটর বি শ্রেণিভুক্ত ড্রোন কেনা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে ভারত।

লাদাখে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই বেজিংয়ের এই পদক্ষেপে ভিন্ন কৌশলও দেখছেন অনেকে। গত এক দশকের মধ্যে উইং লুং টু শ্রেণির ওই আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল বহু দেশকেই বিক্রি করে চলেছে বেজিং। কার্যত ড্রোন রফতানিতে এখন শীর্ষে চীন।

খবর বলা হচ্ছে, লাদাখে চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানকে ড্রোন সরবরাহ করার সিদ্ধান্তে তৎপর নয়াদিল্লিও। দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকার থেকে প্রিডেটর বি শ্রেণিভুক্ত ড্রোন কেনার চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে ভারত। তা নিয়ে ফের সরব হয়েছে নয়াদিল্লি। ওই ধরনের ড্রোন নজরদারির পাশাপাশি টার্গেটে আঘাত হানতেও সক্ষম। ওই ড্রোনে রয়েছে মিসাইল এবং লেসার গাইডেড বোমাও। ইরাক, আফগানিস্তান এবং সিরিয়ায় ওই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করেছিল আমেরিকা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button