Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
বিনোদন

তারকা হওয়ার পরেও পুলিশের এজেন্ট নানা পটেকর!

তারকা হওয়ার পরেও পুলিশের এজেন্ট নানা পটেকর!

বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কাছে রাখার অপরাধে সঞ্জয় দত্তের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু ১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিস্ফোরণকাণ্ডের পরে আর এক বলিউড তারকাও প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে ঘুরতেন। কিন্তু মুম্বাই পুলিশ তাকে কিছুই বলেনি।

তিনি হলেন নানা পটেকর। প্রথম থেকেই নানা পটেকর মুম্বাই পুলিশের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। জে জে স্কুল অব আর্টস-এর ছাত্র নানা-র আঁকার হাত সবসময়ই ভাল ছিল। স্কেচ এঁকে অপরাধীদের ধরতে তিনি অনেক বারই মুম্বাই পুলিশকে সাহায্য করেছেন। তার জীবনের এই দিকটি অনেকের কাছেই অজ্ঞাত রয়েই গেছে।

‘প্রহার’ ছবির জন্য তিনি বেলগাঁওয়ে কঠোর সেনা-প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সে দিক থেকে বললে তিনি টেরিটোরিয়াল আর্মির অংশ। এই টেরিটোরিয়াল আর্মি হল যেখানে সাধারণ মানুষকেও সেনাপ্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নানা-র এক ভাই ১৯৯৩ মুম্বাই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন। নানা-র স্ত্রী বিস্ফোরণ থেকে একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা পান। ফলে নানা জানিয়েছিলেন তিনি মুম্বই পুলিশকে এর তদন্তে সব দিক থেকে সাহায্য করবেন।

মুম্বাই পুলিশের নির্দেশেই নানা পটেকর আন্ডারকভার এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন। সে সময় নানা পটেকর মুম্বাই এবং তার সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি চালাতেন। শহরে কারা অশান্তির আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে, তার রিপোর্ট দিতেন পুলিশকে। প্রয়োজনে সন্দেহভাজনদের স্কেচও তৈরি করতেন।

১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরে যত বার দরকার হয়েছে, মুম্বই পুলিশকে সাহায্য করেছেন নানা। কাজ করেছেন আন্ডারকভার এজেন্ট হিসেবে। মুম্বাই পুলিশের অনুমতিতেই বন্দুক সঙ্গে নিয়ে ঘুরতেন নানা। যে আগ্নেয়াস্ত্র সঞ্জয়ের কেরিয়ারকে খাদের মুখে পৌঁছে দিয়েছিল, সেই আগ্নেয়াস্ত্রই নানাকে অন্য পরিচয় দিয়েছে।

ছবিতে নানার চরিত্রেও পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর বিশেষ প্রভাব থাকে। দর্শকদের কাছে ভাবমূর্তির সঙ্গে এই ধরনের চরিত্রগুলি মিলেমিশে যায়। কিন্তু দর্শকরা জানেনই না বাস্তব জীবনেও নানা-র জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে আছে পুলিশের কাজ। বাস্তব জীবনে নানা পটেকর হয়তো পুলিশের উর্দি পরেননি। কিন্তু তাঁর কাজ কোনও অংশে একজন সক্রিয় পুলিশ অফিসারের তুলনায় কম রোমাঞ্চকর ছিল না।

সূত্র-আনন্দ বাজার

আরও পড়ুন ::

Back to top button