আন্তর্জাতিক

করোনা গোপন করেছিল চিন, বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন পালিয়ে যাওয়া হংকংয়ের এই বিজ্ঞানী

করোনা গোপন করেছিল চিন, বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন পালিয়ে যাওয়া হংকংয়ের এই বিজ্ঞানী

 

ওয়েবডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহতা জানা সত্বেও চিন তা গোপন করে রেখেছিল। এই অভিযোগ নতুন নয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ অনেকেই এনিয়ে সরব হয়েছেন। এবার হংকংয়ের বিজ্ঞানী যে দাবি তুললেন তাতে নতুন করে চাপ বাড়ল বেজিংয়ের উপরে।

বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন হংকংয়ের ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান। তাঁর অভিযোগ, অনেক আগে থেকেই করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানত চিন সরকার। কিন্তু তা প্রকাশ্যে আনেনি তাঁরা। অনেক দেরিতে তা বিশ্ববাসীকে জানানো হয়েছে।

দেশে যাঁরা জানত তাঁদেরও মুখ খুলতে দেওয়া হয়নি। তিনি নিজেও চাপের মুখে আমেরিকায় চলে যেতে বাধ্য হন। ডক্টর লি মেং ইয়ান হংকংয়ের স্কুল অফ পাবলিক হেলথের ভাইরোলজি ও ইমিউনোলজি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। গত ২৮ এপ্রিল তিনি চিন সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে হংকং থেকে আমেরিকায় পালিয়ে

আরও পড়ুন : ভিলেনদের মতো করোনাকেও কাবু করবেন বিগ বি, আরোগ্য কামনায় ভক্তদের হোম-যজ্ঞ !

যান। এবার আমেরিকায় বসে তিনি অভিযোগ তুললেন, করোনাভাইরাস যে মারাত্মক চেহারা নিতে পারে সে সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই জানত চিন সরকার। ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান নিজেও এই বিষয়ে গবেষণা করেছিলেন। কিন্তু তিনি যাতে তথ্য ফাঁস করে না দেন তার জন্য চিন সরকার তাঁর উপর

চাপ সৃষ্টি করে। সাইবার আক্রমণ চালানো হয় তাঁর উপরে। কিন্তু তাতেও যখন কাজ হচ্ছে না দেখা যায় তখন চিনের সরকারি গুন্ডারা তাঁর উপরে আক্রমণ করে। প্রাণ বাঁচাতে চিন সরকারের চোখ এড়িয়ে আমেরিকায় পালিয়ে যান তিনি।

এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে ওই গবেষক ভাইরোলজিস্ট বলছেন, ‘গতবছর ডিসেম্বরের আগেই চিনে সার্স ১-এর মতো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু করোনাভাইরাসের চরিত্র সার্সের থেকে আলদা ছিল। আমার সুপারভাইজারকে এই ভাইরাসের চরিত্র বিষয়ে জানিয়েছিলাম।

কিন্তু, তিনি সেটাকে গুরুত্ব দিতে চাননি। আমি তাই চুপিচুপি একাই গবেষণা শুরু করি। আমার গবেষণার কথা জানতে পেরেই সরকার আমাকে চাপ দিতে শুরু করে। আমার কম্পিউটারে সাইবার আক্রমণ চালানো হয়।’

আরও পড়ুন : ফেসবুকে এই ৩টি তথ্য ভুলেও ফাঁস করবেন না

লি মেং ইয়ান ওই সাক্ষাত্‍কারে আরও জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরেই তিনি জানতে পারেন করোনাভাইরাস মানুষের থেকে মানুষে ছড়ায়। কিন্তু চিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এই ভাইরাস স‌ম্পর্ক অনেক পড়ে তথ্য দেয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে করোনার কথা যখন বলা হয় তখনও এর ভয়াবহতার

কথা জানানো হয়নি। সবাটাই গোপন করে যায় চিন সরকার। এখানেই থামেননি তিনি। ইয়ানের অভিযোগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা প্রফেসর মালিক পেইরিসও এই ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ ক্ষমতা সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু তিনিও এ নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করেননি।

চিনের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও প্রথম থেকেই অভিযুক্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযোগে চেনের বিরুদ্ধে তদন্তের পাশাপাশি হুয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনই পরিস্থিতিতে হংকংয়ের স্কুল অফ পাবলিক হেলথের ভাইরোলজি ও ইমিউনোলজি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লি মেং ইয়ানের অভিযোগ নতুন মাত্রা যোগ করল।

 

 

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button