ময়নাতদন্তের আগেই পুলিশ বলছে আত্মহত্যা, সন্দেহের গন্ধ পাচ্ছি: রাজ্যপাল
ওয়েবডেস্ক : সোমবার সাতসকালে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এটিকে খুন বলে অভিযোগ করেছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের আগেই পুলিশ কী ভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে দিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান টুইট করে লেখেন, ‘হেমতাবাদের বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। পুলিশের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে বলা হচ্ছে আত্মহত্যা। এটা ধামাচাপা দেওয়ার ইঙ্গিত। উদ্দেশ্য ছাড়া এটা করা হয়নি।’
একইসঙ্গে রাজ্যপাল দাবি জানিয়েছেন, ‘বিশেষজ্ঞ দলের উপস্থিতিতে, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী মৃত বিধায়কের ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা প্রয়োজন।’
তবে বলে রাখা ভাল, বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে সোমবার বেলা সওয়া বারোটা পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশের তরফে সংবাদমাধ্যমে কিচ্ছু বলা হয়নি। হতে পারে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান অন্য কোনও সূত্র মারফত পুলিশমহলের ‘আত্মহত্যার তত্ত্বের’ কথা শুনেছেন।
আরও পড়ুন : রাজ্যে বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ চাঞ্চল্য এলাকায় !
প্রসঙ্গত, তদন্তের আগে আত্মহত্যা বলে দেওয়া রাজ্য পুলিশের নতুন কোনও ঘটনা নয়। গত পঞ্চায়েত ভোটের পর জুন মাসের গোড়ার দিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুরুলিয়ার বলরামপুরে তিন বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
Hematabad MLA ‘hanging’-Police stance at top that it is ‘suicide’ is indicative of cover up- smacks with police prejudice, not without obvious intentions.
Autopsy be
VIDEOGRAPHED
BY EXPERT TEAM
AS PER SUPREME COURT DIRECTIVESHighest TRANSPARENCY be observed @MamataOfficial
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) July 13, 2020
কারও দেহ মিলেছিল গাছের ডাল থেকে, কারও আবার হাইটেনশন লাইনের পোস্ট থেকে। সেই সময়ে দুলাল কুমারের দেহ ল্যাম্পপোস্ট থেকে নামানোর আগেই তত্কালীন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস বলে দিয়েছিলেন, এটা আত্মহত্যার ঘটনা।
কী ভাবে ময়নাতদন্তের আগে তিনি ওই মন্তব্য করলেন তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন ওঠে। বিজেপি নেতারা সরাসরি অভিযোগ করেন, পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস উর্দি গায়ে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাডারের ভূমিকা পালন করছেন।
আরও পড়ুন : অবশেষে সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ক্যাটরিনা
চাপ এতটাই বাড়তে থাকে যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেয় নবান্ন। জয় বিশ্বাসের জায়গায় আনা হয় সিআইডির স্পেশাল সুপারিন্টেন্ড পদে থাকা আকাশ মাগারিয়াকে।
ইতিমধ্যেই বিধায়কের পরিবার অভিযোগ করেছে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এর শেষ দেখে ছাড়বেন। এই ঘটনার নিন্দা করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছনে, ‘পশ্চিমবঙ্গে গুণ্ডারাজ চলছে।’
সুত্র: THE WALL