জানেন কী গুগ্লের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের লকডাউন কেমন কাটছে?
জানতে চান গুগ্লের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের লকডাউন কেমন কাটছে? ইউটিউব দেখে পিৎজা বা পনির মাখানি বানাতে শিখছেন তিনি।
সোমবারই ‘গুগ্ল ফর ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। মহামারী পরবর্তী ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নে ১০০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে গুগ্ল। এদিনই তিনি জানালেন তাঁর জীবনে ইউটিউবের ভূমিকা কতটা। ক’দিন আগেই ৪৮–এ পা দিলেন গুগ্লের সিইও তামিলনাড়ুর পিচাই সুন্দরারজন। মনে পড়ে গেল একটি ঘটনার। ‘ছোটবেলায় আমরা প্রত্যেকদিন সন্ধ্যেবেলা দূরদর্শন চ্যানেল খুলে বসতাম। ‘সারে জাহান সে আচ্ছা’ দেখার জন্য।’ বলা যেতে পারে, নিজস্ব কারণেই তিনি প্রযুক্তি আবিষ্কার করার দিকে ঝুঁকেছেন। কারণ ছোটবেলায় তাঁর কাছে বাইরের জগত মানে শুধু একটি জানলাই ছিল।
আরও পড়ুন : ফোল্ডেবল আইফোনে যেসব ফিচার থাকতে পারে!
৪৮ বছর বয়সি এই প্রযুক্তিবিদ জানালেন, কীভাবে ডিজিটাইজ করতে হবে, গোটা দুনিয়ায় তার একটি মান নির্ধারণ করছে ভারত। এবং গুগলকে বিশ্বব্যাপী পণ্য তৈরিতে সাহায্যও করছে। আরতে ডিজিটাইজেশনের ফলে এখন বাড়িতে বসেই বৃদ্ধ–বৃদ্ধারা নিজের একটি দুনিয়া তৈরি করতে পারছেন। বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছে। এবং মাঝারি, বড় ব্যবসাগুলি নিজেদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার একটা উপায়ও খুঁজে বের করছে। ভারতে ডিজিটাইজেশনের এই বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রশংসা করলেন তিনি।
আরও পড়ুন : যেসব অভ্যাস অনলাইনে বিপদে ফেলে
হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরুতে যখন প্রথম গুগ্লের অফিস খোলা হয়, তখন থেকেই সার্চ ইঞ্জিন দৈত্য ভারতের ডিজিটাইজেশন যাত্রায় যোগদান করে। সালটি ২০০৪। আর আজ ‘গুগ্ল ফর ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে সেই দৈত্য চারটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবে বলে জানাল। সেগুলি হল—প্রথমত, নিজেদের ভাষায় যাতে প্রত্যেক ভারতীয় ইন্টারনেটে কাজ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা। দ্বিতীয়ত, শুধু ভারতেই যা অত্যন্ত জরুরি সেরকম নতুন পণ্য এবং পরিষেবা তৈরি করা। তৃতীয়ত, বিভিন্ন ব্যবসাকে ডিজিটাল ব্যবসায় বদলে দেওয়া। এবং চতুর্থত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষির মতো ক্ষেত্রে সামাজিক দরকারে প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানো।
সুত্র : আজকাল