ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রামে রাজ্য সড়কে গাড়ি থামিয়ে ‘তোলাবাজ’দের উৎপাত

ঝাড়গ্রামে রাজ্য সড়কে গাড়ি থামিয়ে 'তোলাবাজ'দের উৎপাত

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: তোলাবাজদের দাপটে অস্থির লরির চালক-খালাসিরা। যখন-তখন রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চলছে তোলা আদায়। চাল, আলু, সব্জি প্রণামী দিলে তবে রেহাই মেলে। যে সব লরিতে খাদ্যসামগ্রী থাকে না, সেই লরির চালক-খালাসিদের সমস্যায় পড়তে হয়। তখন বিস্কুট, কলা, পাঁউরুটি যা থাকে তাই দিতে হয়। খাবার না দিলে পথ ছাড়ে না দাঁতালেরা।

এই তোলাবাজরা আর কেউ নয়, তারা জঙ্গলের হাতি। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে দশ কিমি দূরে গড়শালবনি এলাকায় লোধাশুলি-ঝাড়গ্রাম ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে তাদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। গত এক বছরে খাবার না পেয়ে দু’টি গাড়ি উল্টে দিয়েছিল হাতিরা। অল্পের জন্য ওই সব গাড়ির চালক-আরোহীরা প্রাণে বেঁচেছিলেন। কয়েকমাস আগে রাতের বেলা খাবারের খোঁজে ওই এলাকার জিতুশোলে একটি অ্যাম্বুল‍্যান্সকে আটকে দিয়েছিল একটি হাতি। স্থানীয় একটি কারখানা কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় রোগীবাহী অ্যাম্বুল‍্যান্সটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

ঝাড়গ্রামে রাজ্য সড়কে গাড়ি থামিয়ে 'তোলাবাজ'দের উৎপাত

[ আরও পড়ুন : বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফোন ট্যাপ করছে পুলিশ, অভিযোগ করলেন সায়ন্তন বসু ]

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় বাগানের আম-কাঁঠাল পাকলেই হাতিরা হাজির হয়। ফলমূল সাবাড় হয়ে গেলে তখন রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তোলাবাজি শুরু করে। কয়েকমাস আগে হাতি তাড়াতে গিয়ে এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। গড়শালবনি একাকায় রয়েছে পর্যটন উদ্যান—‘ক্রিস গার্ডেন’। ওই উদ্যানের কাছাকাছি জঙ্গলে হাতি থাকে। ফলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে।

কিন্তু এই সমস্যা কিভাবে মিটবে তা নিয়ে প্রশাসন ও বন বিভাগ নির্বিকার, এমনই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বন বিভাগের বক্তব্য, দলছুট রেসিডেন্সিয়াল হাতিগুলি আম-কাঁঠালের মরশুমে এলাকায় এসে এমন উৎপাত করে। হাতিরা এলাকায় এলে তাদের সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দিন-দিন ঝাড়গ্রাম শহরে প্রবেশের মূল রাস্তাটি হাতিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button