বিচিত্রতা

রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মৃতদেহ সংগ্রহ করা তাদের জীবিকা!

রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মৃতদেহ সংগ্রহ করা তাদের জীবিকা!

 

‘ডেথ, ডেথ, হেয়ার ইট কামস’ মাইকে গান গাইতে গাইতে নেস্তোর ভার্গাস ও লুই হোসে সেরপা গাড়ি নিয়ে এগোতে থাকেন। পা থেকে মাথা পর্যন্ত শক্তিশালী পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুপমেন্ট (পিপিই) পরে এ দুজন পেরুর রাজধানী লিমা ও তার আশপাশের অঞ্চল থেকে এভাবেই কভিড-১৯-এ মারা

যাওয়া মানুষের মৃতদেহ সংগ্রহ করেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে খুব কম মানুষই এমন কাজ করেন। তবে ভেনিজুয়েলা থেকে আসা এ দুই অভিবাসী এমন ঝুঁকি নিচ্ছেন।

ভার্গাস বলেন, ‘আমরা ভয় পেয়েছি যে আমরাও সংক্রমিত হয়ে ভাইরাসটি বাড়িতে নিয়ে যেতে পারি, যেখানে আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান ও মায়ের সঙ্গে থাকি।’ তিনি তার সেলফোনে স্ত্রী-বাচ্চাদের নিয়ে একটি পারিবারিক ছবি স্ক্রিন সেভার করে রেখেছেন।

[ আরও পড়ুন : নৃশংস সিরিয়াল কিলার, ধর্ষণের পর হাতুড়ি, ছুরি দিয়ে ৮৪ জন নারীকে হত্যা ]

২১ বছর বয়সী সেরপা পেরুতে যাওয়ার আগে গ্রাফিক ডিজাইনের ছাত্র ছিলেন, পাশাপাশি তিনি ওয়েটারের কাজ করতেন। আর ৩৮ বছর বয়সী ভার্গাস ভেনিজুয়েলায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কাজ করতেন এবং পেরুতে এসে গ্যাস সংস্থায় গাড়িচালকের চাকরি নিয়েছিলেন।

কভিড-১৯ ভাইরাস ওই অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে মৃতদের কবর দেয়ার কাজটি শিল্পে পরিণত হয়। এর পরই তারা এই কাজে নেমে পড়েন। ভাইরাসটির প্রথম তিন মাস কাজ না থাকলেও দুজনে তারা এখন প্রতি মাসে ৫০০ ডলার উপার্জন করেন।

দিনে ১৯ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন কাজ করে তারা এখন পেরুর ন্যূনতম মজুরির দ্বিগুণ আয় করছেন। ভাইরাসটিই এখন তাদের আয়ের উৎস।

আরও পড়ুন ::

Back to top button