রাজনীতি

বঙ্গ বিজেপির দিল্লি যুদ্ধে জয়ী দিলীপ, দিলীপের নেতৃত্ব মেনেই চলতে হবে বিরোধী বিজেপি নেতাদের

বঙ্গ বিজেপির দিল্লি যুদ্ধে জয়ী দিলীপ, দিলীপের নেতৃত্ব মেনেই চলতে হবে বিরোধী বিজেপি নেতাদের

ওয়েবডেস্ক : সূত্রের খবর অনুযায়ী দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তলবে দিল্লিতে ছুটে এসেছেন বঙ্গ বিজেপির সমস্ত নেতৃত্ব যার মধ্যে সাংসদ পদ অধিকারী বিধায়ক জেলা সভাপতি সহ বঙ্গ বিজেপির বিবদমান সমস্ত নেতা।

সাম্প্রতিক তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে যাওয়ার কিছু উড়ো খবরে সরগরম বঙ্গ বিজেপি। সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বদল বা তার ক্ষমতা খর্ব করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপি-র একাংশের নেতৃত্ব। যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ একবার দেখে নেওয়া যাক দিলীপ ঘোষ কে ?

বঙ্গ বিজেপির একমাত্র নেতা যে প্রথমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিধায়ক হয়েছে এবং দ্বিতীয়বার লোকসভায় দাঁড়িয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে।

[ আরও পড়ুন : জাতীয়তাবোধ জাগানোর সঙ্গে গোটা বিশ্বকে ভারতীয় সংস্কৃতির পরিচয় দিয়েছিলেন বিবেকানন্দ : অমিত শাহ ! ]

যার সভাপতিত্বের সময়কালে দল আঠারোটি সাংসদ পেয়েছে, আর শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মাত্র ৮ শতাংশ ভোটের দূরত্ব রয়েছে বিজেপির।বিতর্ক তার পিছু না ছাড়লেও, নিচু তলার দলীয় কর্মীদের কাছে লড়াকু নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

সাংগঠনিক দলের অনুশাসনই মূলকথা। দিলীপ ঘোষের দীর্ঘ সংঘের সংস্পর্শ, পিছুটানহীন জীবনে অনুশাসনে বাকিদের পেছনে ফেলে এগিয়ে।গোষ্ঠী তৈরি করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নেতৃত্তের বদল অথবা বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর ক্ষমতা বৃদ্ধির আবেদনও জানানো হয়েছিল।

আগামী বিধানসভা কে পাখির চোখ করে কার্যত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যের তৃণমূল বিরোধী আন্দোলনকে আরো ঝাঁজালো করে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে পথে আন্দোলন সংগঠিত করার নির্দেশ দেয়। কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হতে পারে বঙ্গ বিজেপি বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে।যদিও আগামী কেন্দ্রীয় কমিটিতে এই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর একাধিক নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখার খবরও পাওয়া যাচ্ছে সূত্রের মাধ্যমে।

[ আরও পড়ুন : ক্ষমতার লোভে ‘জরুরি অবস্থা’, গাঁধী পরিবারের সমালোচনায় অমিত শাহের ! ]

সাম্প্রতিক বঙ্গ বিজেপি রাজ্য কমিটি শাখা সংগঠনগুলি অর্থাৎ বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্বে নিয়ে এসেছে নতুন মুখ। এমনকি রাজ্য কমিটিতেও জায়গা করে নিয়েছে অনেক নবাগত নেতাকে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিংহ, সব্যসাচী দত্ত, অগ্নিমিত্রা পল, দুলাল বর প্রমুখ।

আর এই সিদ্ধান্তই কার্যত নস্যাৎ করেছে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে থাকা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার মত সমস্ত অভিযোগকে।

দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষের নর্থ এভিনিউর বাসভবনে জেলা সভাপতিদের নিয়ে দফায় দফায় চলছে আলোচনা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এও বলা হয়েছে, গুরুত্ব বাড়াতে হবে নবাগতদের। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে সাম্প্রতিক মোর্চা ও রাজ্য কমিটির খতিয়ান তুলে ধরেছেন রাজ্য সভাপতি।

সূত্রের খবর অনুযায়ী অভিযোগের বহর যত বড়ই থাক, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই আগামী দিনের আন্দোলনে সকলকে পথে নামতে হবে এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। তাতে যদি বৃহত্তর কোনো আক্রমণ নেমে আসে সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব শক্ত হাতে রাজ্যে বিজেপির পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছে বলে খবর।

[ আরও পড়ুন : রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন নয়, সাধারণ মানুষই সরকার বিসর্জন দিক: দিলীপ ঘোষ ]

অপরদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে ফিরে আসার আহ্বানের পর, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের এই অবস্থান বঙ্গ বিজেপিতে কি প্রভাব ফেলে এটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন ::

Back to top button