ঝাড়গ্রাম

লাফ দিয়ে গাড়ির হেড লাইটের সামনে হরিণশাবক, ব্রেক কষে বাঁচালেন চালক

লাফ দিয়ে গাড়ির হেড লাইটের সামনে হরিণশাবক, ব্রেক কষে বাঁচালেন চালক

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: সদ্যোজাত হরিণ শাবককে উদ্ধার করে বন দপ্তরের হাতে তুলে দিয়ে নজির গড়লেন এক যুবক। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানার তপোবন জঙ্গল রাস্তার ঘটনা। বুধবার বন দপ্তরের উদ্যোগে শাবকটিকে হিজলি ইকো পার্কে পাঠানো হয়েছে।

বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে কলমাপুকুরিয়া বিট অফিসে হরিণ শাবকটিকে জমা দেন নরসিংহপুর গ্রামের যুবক পেশায় গড়ি-ব্যবসায়ী অভিজিৎ ঘোষ। অভিজিতবাবু জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় গাড়িতে করে তিনি ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু চাঁদাবিলার দিকে যাচ্ছিলেন। আচমকা একদল কুকুরের তাড়া খেয়ে হরিণশাবকটি তাঁর গাড়ির সামনে চলে আসে।

গড়ির হেড লাইড দেখে রাস্তার মাঝে থমকে দাঁড়িয়ে যায় হরিণশাবরটি। কোনও মতে ব্রেক কষে অভিজিৎ শাবকটিকে বাঁচান। কুকুরের দলকে তাড়িয়ে শাবকটিকে গাড়িতে তুলে নেন তিনি। অভিজিত বলেন, ‘‘আমার কাছে কলমাপুখুরিয়া বিট অফিসারের মোবাইল নম্বর ছিল। তাঁকে ফোন করে খবর দিই।

[ আরও পড়ুন : ‘বিনামূল্যে রেশন নয়, শিক্ষকের চাকরি চাই’, দাবি তুলে বিক্ষোভ বিএড উত্তীর্ণদের ]

তার পরে হরিণটিকে বিট অফিসে জমা দিই। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই কলমাপুখুরিয়া বিটের অফিসার শম্ভুচরণ নায়েকের হাতে শাবকটিকে তুলে দেন অভিজিৎ। নয়াগ্রামের ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার শিবরাম রক্ষিত বলেন, ‘‘শাবকটিকে বাঁচাতে অভিজিতবাবু ও তাঁর বন্ধুদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

এভাবে সাধারণ মানুষ সচেতন হলে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের কাজ আরও সহজ হবে।’’ খড়্গপুরের ডিএফও অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শাবকটির বয়স প্রায় একমাস। দু’দিন পর্যবেক্ষণে রেখে শাবকটির শুশ্রূষা ও চিকিৎসা করানো হয়। বুধবার শাবকটিকে হিজলি ইকো পার্কে নিয়ে আসা হয়েছে।’’

[ আরও পড়ুন : করোনার ত্রাণের টাকা দিয়ে ল্যাম্বরগিনি গাড়ি কিনেছেন এক ব্যক্তি ]

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button