Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
বিনোদন

অবশেষে দিশা এবং সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন সূরজ পাঞ্চোলি

অবশেষে দিশা এবং সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন সূরজ পাঞ্চোলি

অবশেষে দিশা সালিয়ান ও সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন সূরজ পাঞ্চোলি। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং তার ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের আত্মহত্যার পেছনে কি সত্যিই হাত রয়েছে সূরজ পাঞ্চোলির? সুশান্ত মারা যাওয়ার ঠিক এক দিন আগে কি রাতভর পার্টির আয়োজন করেছিলেন সূরজ? কারা উপস্থিত ছিলেন সেখানে?

বুধবার মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা নারায়ণ রানের এই প্রশ্নে এখন উত্তাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যাকে নিয়ে এত জল্পনা, এত কথা, সেই সূরজ পাঞ্চোলিও মুখ খুললেন অবশেষে। ঘটনার সূত্রপাত সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক এক সপ্তাহ পর থেকেই। আচমকাই ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায় দিশা এবং সূরজের ‘সম্পর্ক’-র কথা। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই দাবি করেন, দিশার গর্ভে সূরজের সন্তান ছিল। সূরজ তা অস্বীকার করায় আত্মহত্যা করেন দিশা।

[ আরও পড়ুন : স্বজনপ্রীতি নয়, আমাদের তৈরি করেছে দর্শক: কারিনা ]

আগুনে ঘি পড়ে যখন বুধবার নারায়ণ রানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জোরের সঙ্গে বলেন, গত ১৩ জুন সূরজের হাউস পার্টিতে রিয়া চক্রবর্তী-সহ উপস্থিত ছিলেন বলিউডের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্ব। এখানেই শেষ নয়। নাম জড়ায় শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরেরও। তাদের প্রত্যেককে যাতে এক এক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সেই দাবিও করেন নারায়ণ রানে। এর পরই মুখ খোলেন সূরজ।

এক সাক্ষাৎকারে সূরজের সাফ দাবি, এগুলো বাজে গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। রানেকে তার প্রশ্ন,‘কী প্রমাণের ভিত্তিতে এত বড় বড় কথা বলছেন ওই বিজেপি নেতা?’ক্ষোভের সঙ্গে তার বক্তব্য, ‘মুম্বাই পুলিশ জানে এই দুই মৃত্যুর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই আমার। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা কেন কিছু বলছে না? সুশান্তের পরিবার কি আমাকে নিয়ে কিছু বলেছে? ওর বোনেরা কি আমায় নিয়ে কিছু বলেছে?’ প্রশ্ন তার।

[ আরও পড়ুন : সুশান্তের সঙ্গে ৭ দিন ফোনে যোগাযোগ ছিল না প্রেমিকা রিয়ার! ]

অবশ্য কাঠগড়ায় এর আগেও দাঁড়াতে হয়েছে সূরজকে। অভিনেত্রী জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় নাম জড়িয়েছিল তার। জিয়ার তৎকালীন বয়ফ্রেন্ড সূরজের বিরুদ্ধে হয়েছিল মামলাও। যা আজও চলছে। সেই প্রসঙ্গে সূরজের বক্তব্য, ‘আমাকে বলির পাঁঠা বানানো খুব সোজা। ২১ বছর বয়স থেকে আদালতে যেতে হয়েছে আমাকে। সাত বছর হয়ে গিয়েছে, জিজ্ঞেস করুন কোর্টকে, আজ পর্যন্ত শুনানির একটি দিনও আমি বাদ দিয়েছি কিনা। অন্যদিকে রাবিয়া খান (জিয়া খানের মা) লন্ডনে বসে মিডিয়াকে বাইট দিচ্ছেন। মেয়ের জন্য যদি ওর এতটুকুও ভালোবাসা থাকত তবে শুনানির দিনগুলোতে উনি এভাবে অনুপস্থিত থাকতেন না।’

তিনি বলেন, ‘সালমান স্যার আমায় লঞ্চ করেছিলেন। কিন্তু তার পর যে মুহূর্তে আমি ভাবলাম নিজের পায়ে দাঁড়াব, ঠিক তখনই জিয়ার আত্মহত্যা। আর আমাকে নিয়ে হাজারো লেখা, মিথ্যে অভিযোগ। সেসব সামলে নিয়ে আবার যেই ঘুরে দাঁড়াব ভাবলাম, তখন উড়ে এসে জুড়ে বসল দিশা এবং সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে আমাকে জড়িয়ে এই সব কথা।’ পাঞ্চোলির দাবি,‘আমি দিশাকে চিনি না। কোনওদিন ওর সঙ্গে দেখাই হয়নি আমার।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button