Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
সম্পর্ক

মহিলারা কোন ধরনের ছেলেদের সাথে পরকিয়া করে!

মহিলারা কোন ধরনের ছেলেদের সাথে পরকিয়া করে!

কথায় আছে ‘মেয়েদের মন নাকি ঈশ্বর ও বুঝতে পারেন না’। মেয়েরা কখন কি চায়, কাকে চায় তা অন্যকেউ বুঝতে পারে না।

ধরুন, ছেলেটি বেশ ভালো, পড়াশোনা, স্বভাব– সবেতেই। কিন্তু কোথায় যেন একটা ‘কমতি’ রয়েছে, তাই তো কোনও মেয়েই তাকে প্রেমিক হিসেবে মেনে নিতে চায় না বা

কোনও প্রেমিকাই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে বেশিদিন স্থির থাকে না। সবার চোখেই ওই সিধেসাধা ছেলেটি মায়ের আঁচলে থাকা লক্ষ্মী ছেলে হয়ে দাঁড়ায়।

কিন্তু কেন হয় এমন? কারণগুলো আসুন জেনে নিই-

১. গায়ে পড়া স্বভাব নেই:
গায়ে পড়ে বন্ধুত্ব করা বা গায়ে পড়ে থাকা এদের স্বভাব নয়। শুধু মেয়ে কেন, কারও গায়ে পড়ে আলাপ করাটা এদের না-পছন্দ। এমনকি কেউ আলাপ করতে এলেও নিজের মধ্যেই গুটিয়ে থাকেন। ফলে তাদের পরিচিত মানুষের পরিধি খুবই ছোট আর সেই পরিধিতে মেয়েদের সংখ্যা আরও কম।

২. এরা কাউকে প্রতারিত করতে পারেন না:
কোনও মেয়েকে নিজের প্রেমে ফেলতে গেলে একটু কৌশল, একটু ছলাকলা জানতেই হয়। বলাই বাহুল্য যে, ভালো ছেলেরা এসব থেকে একশ হাত দূরে থাকেন এবং এগুলো বোঝেন না। প্রেমের সপ্ত ছলকলা এদের রপ্তের বাইরেই থেকে যায়।

[ আরও পড়ুন : জীবনে সুখী হতে হলে বিয়ে করুন মোটা মেয়েকে! ]

৩. ভালো ছেলেরা ‘বোরিং’ হয়:
ভালো ছেলেরা কোন মুহূর্তে কী কাজ করবে, তা সহজেই ধারণা করা যায়। কিন্তু খারাপ ছেলেদের ক্ষেত্রে এ কথা খাটে না। এই বিগড়ে যাওয়া ছেলেদের প্রেমিকা হওয়া মেয়েদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
আবার বিগড়ে যাওয়া ছেলেদের শুধরাতে মেয়েরা ভালোবাসে। ওই ছেলেটিকে নিজের মতো করে তৈরি করাই মেয়েদের মিশন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ভালো ছেলের মধ্যে ঠিক ঠাক করার কিছুই নেই। তাই তাদের না-পসন্দ করেন মেয়েরা।

৪. মায়ের কথা মেনে চলে:
ভালো ছেলে মায়ের কথা মতো কাজ করে। মায়ের পছন্দ ছাড়া বিয়ে করবে না বা সব সিদ্ধান্তে মাকে শামিল করে তারা। তার প্রেমিক তার পরিবর্তে মায়ের কথা মতো কাজ করছে! এই সত্যটি তারা ঠিক মেনে নিতে পারেন না। তাই এই আপাত ভালো ছেলেটিকে তাঁরা mumma’s boy বলে হেয় করতেও ছাড়েন না। এই mumma’s boy-রা তাদের অপছন্দের তালিকায় থাকেন।

৫. প্রথমেই সিরিয়াস হয়ে যায়:
‘আলাপের পর প্রথম ডেটিংয়ে এসেই আমার ওপর অধিকার ফলানো!’ নিজের স্বপ্নের মেয়ের খোঁজ পাওয়ার পরই ভালো ছেলেরা তাদের নিয়ে খুব সিরিয়াস এবং পজেসিভ হয়ে পড়ে। তাঁর যত্ন নিতে গিয়ে অনেক সময় ছেলেরা অধিকার ফলাতে শুরু করে। ফলে সম্পর্ক শুরু আগেই সেখানে ফুলস্টপ লাগিয়ে দেয় মেয়েটি।

[ আরও পড়ুন : পুরুষ না নারী, কারা বেশি অলস? জানাচ্ছে গবেষণা ]

৬. প্রচণ্ড আবেগী হয়:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো ছেলেরা প্রচণ্ড আবেগী ও স্পর্শকাতর। আবার কথায় কথায় আবেগের বন্যায় ভেসে যায়– এমন ছেলেদের থেকে মেয়েরা তফাত্ বজায় রাখেন।

ভালো ছেলেরা শেষ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারে না তার প্রেমিকাকে কী বলবে বা কী বলবে না। কিন্তু বিগড়ে যাওয়া ছেলেরা ভালোভাবেই জানে, কী বললে মেয়েটিকে খুশি করা যাবে। আবার মেয়েদের ধারণা, ভালো ছেলেরা ভালো রমাঞ্চকরসঙ্গী হতে পারে না।

চিরকাল ধরে ছেলেরাই মেয়েদের নিরাপত্তা দিয়ে এসেছে। তা সে যে কোনও ধরনেরই নিরাপত্তা হোক না-কেন। বিগড়ে যাওয়া বা হিরো সেজে ঘুরে বেড়ানো ছেলেরা মেয়েদের আশ্বস্ত করে যে, তাদের সম্পূর্ণ নিরাপদে রাখবে। কিন্তু ভালো ছেলেদের সাধারণত দুর্বল মনে করে মেয়েরা, তাই এ ব্যাপারে তাদের ওপর ঠিক ভরসা রাখতে পারে না।

জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। ছেলেরা ভালো এবং খারাপের তালিকায় ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু আদর্শ ছেলেদের উচিত এই দুইয়ের মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button