আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার ভ্যাকসিনের প্রতি আস্থা রাখছেন দুয়ার্তে

রাশিয়ার ভ্যাকসিনের প্রতি আস্থা রাখছেন দুয়ার্তে

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য রাশিয়ার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে। সম্ভাব্য ওই ভ্যাকসিনটির হিউম্যান ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন তিনি। মস্কো থেকে ভ্যাকসিনটি ফিলিপাইনে সরবরাহের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে দুয়ার্তে বলেন, এটি বিনামূল্যে পাওয়ার আশা করছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ১২ জুলাই রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করেছে তারা।

[ আরও পড়ুন : যেকারণে বন্ধ করা হতে পারে আমেরিকান নাগরিকদের দেশে ফেরা ]

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে রাশিয়াকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে। ইতোমধ্যে তার মেয়ে ভ্যাকসিনটি গ্রহণও করেছেন।

ভ্যাকসিনটি ফিলিপাইনে সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া্। সোমবার (১০ আগস্ট) রাতে টেলিভিশেনে দেওয়া বক্তব্যে দুয়ার্তে বলেন ‘আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বলতে চাই যে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আপনাদের গবেষণার ওপর আমার অনেক আস্থা আছে। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা যে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছেন তা মানবতার জন্য ভালো কাজ করবে।’

করোনার ভ্যাকসিন কার আগে কে তৈরি করবে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রতিযোগিতা চলছে। এতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে উৎপাদনের গতি আর জাতীয় মর্যাদাকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে নিরাপত্তার বিষয়টি অবহেলিত থেকে যাবে। এমন অবস্থায় ভ্যাকসিনটি নিয়ে নিজ দেশের মানুষের আতঙ্ক দূর করতে দুয়ার্তে বলেন, তিনি ভ্যাকসিনটি সবার আগে গ্রহণ করতে রাজি আছেন।

[ আরও পড়ুন : টিকা নিলেন পুতিন কন্যা। বিশ্বের প্ৰথম করোনা ভ্যাকসিন রাশিয়ার! ]

উল্লেখ্য, এশিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর একটি ফিলিপাইন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button