ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রামের বাকড়ায় দোকানের দরজা ভেঙে ধান ও কলা খেল ক্ষুধার্ত দাঁতাল

ঝাড়গ্রামের বাকড়ায় দোকানের দরজা ভেঙে ধান ও কলা খেল ক্ষুধার্ত দাঁতাল

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: খিদে বড় বালাই! তা সে মানুষই হোক আর বন্যপ্রাণী। ভোরবেলা খাবারের খোঁজে গ্রামে হানা দিল নিঃসঙ্গ এক দাঁতাল হাতি। ফলের দোকানের দরজা ভেঙে কলা-আপেল সাবাড় করল গজরাজ। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন একটি ধান-মজুত ঘরের শাটার ভেঙে প্রায় কুইন্ট্যাল দশেক ধানও সাবাড় করে দিল হাতিটি।

বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের বাকড়া গ্রামের এমন ঘটনায় আতঙ্কের পাশাপাশি হাতি দেখতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন উৎসাহী মানুষজন। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুর বন বিভাগের জটিয়ার জঙ্গলের দিক থেকে কেলেঘাই নদী পেরিয়ে হাতিটি বাকড়া এলাকায় ঢুকে পড়ে।

[ আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আরও এক মাইলফলক ছুঁলেন নরেন্দ্র মোদি ]

সাত সকালে পিচ রাস্তায় হাতি দেখে উৎসাহী লোকজন মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় হাতির ভিডিও তুলতে থাকেন। ক্ষুধার্ত হাতিটি বাবলু দাসের ধান গুদামের শাটার ভেঙে ধান খেয়ে নেয়। সব মিলিয়ে প্রায় দশ কুইন্ট্যাল ধান খেয়ে, ছড়িয়ে নষ্ট করে হাতিটি। শুঁড়ে ধান নিয়ে চারিদিকে ধান ছড়িয়ে দেয় ওই দাঁতাল।

বাকড়া চকে রমেশ দাসের ফলের দোকানের দরজা ভেঙে ফল খেয়ে নেয় হাতিটি। এর পরে গ্রামের রাস্তায় ঘুরে-ঘুরে গৃহস্থের বাগানের কলাগাছ সাবাড় করে সে। গ্রামবাসীরা হাতি তাড়াতে শুরু করেন। গ্রামবাসী তথা তৃণমূলের অঞ্চল নেতা পিন্টু মাহাতো জানালেন, তাড়া খেয়ে হাতিটি কাটনিমারোর দিকে বন দফতরের একটি কাজু গাছের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।

[ আরও পড়ুন : সুশান্তের ডায়েরির পাতায় থেকে উঠে এলো নতুন তথ্য ]

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ক্ষুধার্ত হাতিটি খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকেছিল। গ্রামবাসী হাতিটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলেও বিশেষ পাত্তা দিচ্ছিল না সে। ভরপেট খাবার পরে হেলেদুলে জঙ্গলের দিকে চলে যায় গজরাজ। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বাকড়ার বাসিন্দারা।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button