আন্তর্জাতিক

কমলা হ্যারিসের আমেরিকান নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ট্রাম্পের

কমলা হ্যারিসের আমেরিকান নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ট্রাম্পের

রানিং মেট হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে বেছে নিয়েছেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্ত একেবারেই পছন্দ হয়নি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। কমলা হ্যারিসের আমেরিকান নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমি শুনলাম তিনি তো ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতার মানই পূরণ করতে পারছেন না। একজন আইনজীবী তো সেই কথাই লিখেছেন। আর ওই আইনজীবী যথেষ্ট শিক্ষিত ও প্রতিভাবান। এটা খুবই গুরুতর ব্যাপার। বলা হচ্ছে, তিনি না কি আমেরিকার নাগরিকই নন।’

তার পরেই ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না, এটা ঠিক না ভুল। আশা করছি, তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে বাছাই করার আগে ডেমোক্র্যাটরা নিশ্চয়ই সব কিছু ভালো করে দেখে নিয়েছেন।’

ট্রাম্প ঠিক একই ধরনের প্রচার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধেও করেছিলেন। বারবার প্রশ্ন তুলেছিলেন ওবামার আমেরিকান নাগরিকত্ব নিয়ে।

[ আরও পড়ুন : ছোট্ট পোকা নিয়ে আতঙ্ক, কামড়ে হতে পারে প্যারালাইসিস ]

কমলা হ্যারিসের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নটা তুলেছেন আইনের অধ্যাপক জন ইস্টম্যান। তাঁর যুক্তি হলো, কমলার বাবা জ্যামাইকান এবং মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁরা অভিবাসী। তাঁরা যদি স্টুডেন্টস ভিসা নিয়ে আমেরিকায় এসে থাকেন এবং কমলার যখন জন্ম হচ্ছে তখনো যদি তাঁরা আমেরিকার নাগরিকত্ব না নিয়ে থাকেন, তাহলে কমলাকে আমেরিকার নাগরিক বলা যাবে না। কমলার জন্ম হয়েছিল ১৯৬৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায়।

তবে আমেরিকার অধিকাংশ আইনবিদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ইস্টম্যানের যুক্তিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, মার্কিন সংবিধানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, আমেরিকায় জন্ম হলেই তিনি জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক। ইস্টম্যানের তত্ত্বকে বর্ণবাদী ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব বলে অভিহিত করা হচ্ছে।

বিবিসিকে বার্কলে ল স্কুলের আরউইন চেমেরেনস্কি বলেছেন, ‘চতুর্দশ সংশোধনে বলা হয়েছে, যাঁরা আমেরিকায় জন্মাবেন, তাঁরাই মার্কিন নাগরিক। ১৮৯০ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টও তা-ই বলছেন। কমলা হ্যারিসের জন্ম আমেরিকায়।’

হার্ভার্ড ল স্কুলের অধ্যাপক লরেন্স ট্রিবে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘আমি এই বিষয়ে কথাই বলতে চাই না। কারণ, এটা একেবারেই বোকার মতো আলোচনা হচ্ছে। যাঁরা সংবিধান নিয়ে চর্চা করেন, চতুর্দশ সংশোধনের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ পড়েছেন, তাঁরা কখনোই এই যুক্তি মানবেন না যে যিনি জন্মসূত্রে আমেরিকান, তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে পারবেন না, কারণ তাঁর বাবা বা মা অভিবাসী ছিলেন।’

[ আরও পড়ুন : H-1B ভিসা নিয়ে সুর বদল ট্রাম্প প্রশাসনের ! ]

ট্রাম্প অবশ্য জন ইস্টম্যানের মত নিয়েই হৈচৈ শুরু করে দিয়েছেন এবং কমলার নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button