আন্তর্জাতিক

চুক্তি করে বিরাট ভুল করেছে আমিরাত : ইরান

চুক্তি করে বিরাট ভুল করেছে আমিরাত : ইরান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছেছে বলে ওয়াশিংটন থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেয়া ঘোষণার সমালোচনা করেছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার নামে এ চুক্তি করে বিরাট ভুল করেছে আমিরাত।

উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে আমিরাত চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে দাবি তুলে তীর্যক ও সমালোচনাপূর্ণ বাক্যবাণে দেশটির এ চুক্তির তীব্র বিরোধিতার করে শনিবার বক্তব্য দেন হাসান রুহানি। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তাকে এসব কথা বলতে শোনা যায়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

গত বৃহস্পতিবার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় একটি কথিত ঐতিহাসিক চুক্তিতে উপনীত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল। ফিলিস্তিন তাৎক্ষণিকভাবে একে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে আখ্যা দেয়। এদিকে চুক্তির পর আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের হুমকি দিয়ে রেখেছে তুরস্ক।

আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ইরানবিরোধী সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া এই চুক্তির সমালোচনা করে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইসরায়েলকে ‘এ অঞ্চলে পা রাখার সুযোগ’ করে দেওয়ার ব্যপারে আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোকে সতর্কও করেছেন।

[ আরও পড়ুন : চীনা ভ্যাকসিনে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবডি, করোনা নিমূর্লের আশা ]

রুহানি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাদের (আমিরাত) আরও বিবেচনা করা প্রয়োজন ছিল। তারা বিরাট একটা ভুল করেছে, তারা একটা বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেছে। আমরা আশা করবো তারা এটা বুঝতে পারবে এবং এই ভুল পথ বর্জন নিজেদেরকে সরিয়ে নেবে।’

ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রুহানি বলেন, ‘এখন কেন এটা ঘটল? কেন ট্রাম্পের নির্বাচনের আগে আগে ওয়াশিংটন থেকে এর ঘোষণা আসলো। ট্রাম্পকে জেতাতে এই চুক্তি করার মাধ্যমে আমিরাত নিজের দেশ, দেশের জনগণ, মুসলমান এবং আরব বিশ্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে’।

ফিলিস্তিন এ চুক্তিকে তাদের পিঠে ছুরি মারা হিসেবে অভিহিত করে মুসলিম দেশগুলোর জোট আরব লীগ ও অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনকে (ওআইসি) চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিতেও আহ্বান জানিয়েছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিতি সৌদি আরব এখনও কিছু বলেনি।

অন্যদিকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষণকে ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য ঐতিহাসিক মুহুর্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো উপসাগরীয় আরব অঞ্চলের অন্যান্য দেশও একই পথে হাঁটবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে দীর্ঘদিনের মিত্র এই দেশ দুটি।

তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ

আরও পড়ুন ::

Back to top button