আন্তর্জাতিক

চিনের তৈরি ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চলবে পাকিস্তানে

চিনের তৈরি ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চলবে পাকিস্তানে

করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন তৈরির জন্য গবেষণা চলছে বিশ্বের একাধিক দেশে। এবার সেই পাকিস্তানে শুরু হল ট্রায়াল। চিনা সংস্থার তৈরু ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চলবে প্রতিবেশী এই দেশ। শীঘ্রই ফেজ থ্রি ট্রায়াল শুরু হবে বলেও জানা গিয়েছে।

পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অফ পাকিস্তানের তরফ থেকে সেই ট্রায়ালের অনুমোদন মিলেছে। CanSinoBio ও চিনের বেজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে।

পাকিস্তানের এই প্রথমবার কোনও করোনা ভ্যাক্সিনের ফেজ থ্রি ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। CanSinoBio নামে ওই সংস্থা ইতিমধ্যেই চিন, রাশিয়া, আর্জেন্টিনায় ট্রায়াল চালিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই সৌদি আরবে এই ট্রায়াল চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

[ আরও পড়ুন : ট্রাম্প মিথ্যাচার এবং নোংরা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন : কমলা ]

গত মাসেই চিনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের সঙ্গেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। করাচির ইন্দাস হসপিটালে এই ট্রায়াল চালানো হবে। ইতিমধ্যে করাচির বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত ২০০ জন ভলান্টিয়ার এই খেলায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্টার করেছেন।

জানা গিয়েছে, ভলান্টিয়ারদের তালিকায় ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের রয়েছে। ৫৬ দিন ধরে চলবে এই ট্রায়াল’। ৫৬ দিনের মধ্যে প্রত্যেকটি তিনটি করে ইনজেকশন দেওয়া হবে, যাতে থাকবে ইন্যাক্টিভেটেড ভাইরাস।

পাকিস্তানের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষের কাছাকাছি। মঙ্গলবারের হিসাব অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬১৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।

অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিন রেজিস্টার করেছে চিন। রাশিয়ার পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চিন এই ভ্যাক্সিন রেজিস্টার করেছে। চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের (সিজিটিএন) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গিয়েছে।

সিজিটিএন জানিয়েছে, চিনের সেনাবাহিনীর সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চেন ওয়ের দল এবং স্যানসিনো বায়োলজিকস যৌথভাবে ভ্যাক্সিনটি তৈরি করেছে। ‘এড৫-এনসিওভি’ নামের ভ্যাকসিনটি রবিবার‌ দিনই নিবন্ধন করেছে বেজিং।

[ আরও পড়ুন : চীন প্রথম কোভিড-১৯ টিকার প্যাটেন্ট অনুমোদন দিল ]

সিজিটিএন-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চিন প্রথম করোনা ভ্যাক্সিনের পেটেন্ট অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভ্যাক‌্সিনটি নিরাপদ এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম।

আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্যের বরাত দিয়ে সিনহুয়া নিউজ এজেন্সিও জানিয়েছে, করোনার এই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে।

 

সুত্র: কলকাতা24×7

আরও পড়ুন ::

Back to top button