স্বাস্থ্য

করোনা জয়ের পর ১৬টি উপসর্গে সাবধান

করোনা জয়ের পর ১৬টি উপসর্গে সাবধান

নভেল করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পর অনেক মানুষ নানা ধরনের সমস্যায় পড়ছেন। ‘লং কভিড’ সংক্রান্ত এই সমস্যা বুঝতে ব্রিটেনের গবেষকেরা সম্প্রতি ১৬টি উপসর্গের একটি তালিকা দিয়েছেন।

১. চুলপড়া:
ব্রিটেনের প্রতি চারজন করোনা রোগীর একজন চুলপড়ার মতো সমস্যার কথা জানিয়েছেন। করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের নিয়ে করা একটি অনলাইন জরিপে দেখা গেছে, ১৫০০ মানুষের মধ্যে ২৭ শতাংশের চুল পড়ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রোগীরা খুব চাপের ভেতর দিয়ে গেলে চুলে সমস্যা হচ্ছে।

২. উচ্চ তাপমাত্রা:
করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও শরীরের তাপমাত্রা ৩৭সি এর বেশি থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠা অনেক মানুষের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে। এটি চিন্তার বিষয়। তাপমাত্রা সাধারণত ৩৭.৮সি অথবা এর বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৩৬.৪সি।

৩. ডায়রিয়া:
করোনাকালীন কিংবা পরবর্তী সময়ে অনেক মানুষের ডায়রিয়া হচ্ছে। অনেক সময় সাধারণ ওষুধে এটি কমে না। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

৪. ক্লান্তি:
ভাইরাস পরবর্তী ক্লান্তি চিন্তার কারণ হতে পারে।

[ সুত্র : মুখ দেখেই বুঝে নিন শরীরে ভিটামিনের অভাব আছে কি না? ]

৫. বুকে ব্যথা:
কভিড-১৯ এমন একটা প্রদাহজনিত রোগ যা ফুসফুস আক্রমণ করে। যার কারণে অনেক দিন পর্যন্ত বুকে ব্যথা হতে পারে। যারা ভেন্টিলেটরে ছিলেন তাদের ব্যথা আরও বেশি দিন থাকে।

এটি অবশ্য অফিসিয়াল উপসর্গ নয়। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বলা হয়েছিল, ভাইরাসে সংক্রমিত হলে বুক ভার-ভার মনে হতে পারে।

৬. অনিদ্রা:
লং-কভিডের রোগীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো, অনিদ্রা। এটি শারীরিক জটিলতার পাশাপাশি মানসিক কারণেও হতে পারে।

৭. হ্যালুসিনেশন:
মনে ভাবছেন একটা দেখছেন আরেকটা, খাবারের ঘ্রাণ যা মনে করছেন, পাচ্ছেন তার উল্টো। এমনটি হলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। অতিরিক্ত কিংবা দীর্ঘদিন ওষুধ সেবনের কারণে এই সমস্যা হতে পারে।

৮. কভিড আঙুল:
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ‘কভিড আঙুল’ সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে হচ্ছে।

পায়ের আঙুলের পাতায় ফোসকা এবং রক্তবর্ণ ক্ষত দেখা দিলে তাকে ‘কভিড টো’ বলা হয়। এটি সাধারণত প্রদাহজনিত কারণে হয়।

আরও আটটি উপসর্গ: শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, দিক বুঝতে সমস্যা হওয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, শরীর ব্যথা, বুক ধড়ফড়, বমি-বমি ভাব এবং অ্যারিথমিয়া বা হৃৎপিণ্ডের ছন্দপতন হওয়া।

আরও পড়ুন ::

Back to top button