২২ বছর বয়সেই ড্রাগ নিতাম: সাইফ আলি খান
‘২২ বছর বয়সেই ড্রাগ নিতাম!’ ড্রাগ নেওয়ার কথা এভাবেই অকপট স্বীকার করে নিলেন সাইফ আলি খানের। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে বর্তমানে মাদকচক্রের কথা উঠে আসছে। দিন কয়েক আগে কঙ্গনা রানাউতও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘বলিউডে একটু ভালো করে অভিযান চালালেই মাদকাসক্তদের ডেরার খোঁজ মিলবে!’
যে অভিযোগে অভিযুক্ত সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী এবং বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানির প্রত্যেকটি চাল-চলন বর্তমানে নার্কোটিক্স বিভাগের আতসকাঁচের নিচে! আর এমন বিতর্কের মাঝেই যেন স্ফুলিঙ্গের মতো কাজ করল বলিউড নবাব সাইফ আলি খানের মন্তব্য।
সাইফের কথায়, ‘মাত্র ২২ বছর বয়সেই আমি এলএসডি নিতে শুরু করি। এই মাদক সেবন আমার জীবনে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারত! কিন্তু সেটা হয়নি।’ এলএসডি একধরনের নিষিদ্ধ ড্রাগ। মূলত মার্কিন মুলুকে বেআইনিভাবে স্ফটিকের আকারে তৈরি করা হয়। কিন্তু তা আগে তরলে পরিণত করে তারপরই বিক্রি হয়।
শোনা গিয়েছে, কোনও ব্যক্তির মুড পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে নাকি এই ড্রাগ বা রাসায়নিক খুব কার্যকরী। অল্প বয়সে এমন বিপজ্জনক মাদকের সংস্পর্শেই এসেছিলেন সাইফ আলি খান। অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়ার পডকাস্ট শো ‘নো ফিল্টার নেহা’র শোতে এসেই এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন : মাদক মিশিয়ে ঘনিষ্ঠতা, কঙ্গনাকে দুবাইয়ে পাচারের চেষ্টা!
কিন্তু কেন অত কম বয়সে মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি? এ প্রসঙ্গে অবশ্য কারণ হিসেবে অভিনেতা দর্শিয়েছেন অন্ধকারের প্রতি তার ভয়কে। সাইফ জানান, সেসময়ে নাকি তিনি অন্ধকারকে খুব ভয় পেতেন। কিন্তু এলএসডি নেওয়ার পর থেকেই লক্ষ্য করেন, ধীরে ধীরে সেই ভয় কেটে যাচ্ছে।
পরের দিকে অবশ্য এই অন্ধকারের প্রতি ভয় কাটাতেই মাদক নেওয়া শুরু করেন সাইফ। কিন্তু এত বিপজ্জনক ড্রাগ নেওয়া সত্ত্বেও তা তার কোনোরকম ক্ষতি করতে পারেনি বলে জানান অভিনেতা। তবে সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে মাদকচক্রের কথা সম্প্রতি উঠে আসায় এবং কঙ্গনা রানাউতের করা বলিউডে কোকেইন কাণ্ডের অভিযোগের পর সাইফের এই মন্তব্য যে ফের নেটদুনিয়ায় শোরগোলের সৃষ্টি করবে, তা হলফ করে বলা যায়। কারণ এই মুহূর্তে ইন্ডাস্ট্রির সব স্টারকিডরাই নেটজনতাদের রোষানলে রয়েছেন। সাইফ আলি খানও অবশ্য সেই তালিকা থেকে বাদ যান না!