জীবন যাত্রা

মিস করতে দিন, ছেড়ে দিলেই ফিরে আসবে পুরুষসঙ্গীটি!

মিস করতে দিন, ছেড়ে দিলেই ফিরে আসবে পুরুষসঙ্গীটি!

এই লেখাটি সেই নারীদের জন্য যারা এই ধারণায় অটল যে তার বিশেষ মানুষটি তার জন্য একেবারেই সঠিক নন, সেই মানুষটাকে হারানোর ভয়ে এত বেশি সময় নষ্ট করেছেন যে হিসাব নেই।

তাকে হারানো আপনার জীবনের জন্য সবচেয়ে উত্তম ব্যাপার প্রমাণিত হতে পারে। অন্তত এমন যদি হয় যে আপনারা দুজন একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচতেই পারবেন না, তাহলে তাঁকে ছাড়ার পর তিনি বাচ্চার মতো হামাগুড়ি দিয়ে আপনার কাছে ফিরে আসবেন- আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় আপনার প্রতি আরো অনেক বেশি সম্মান নিয়ে, নিবেদিত হয়ে আর নানা দিক থেকে আপনার সম্পর্কে স্পষ্টতর ধারণা নিয়ে।

আরেকটা ভাল দৃশ্যপট যা হতে পারে তা হলো- তিনি সর্বান্তকরণে ফিরে আসবেন কিন্তু ততদিনে আপনি আর তাঁকে চান না আর তাই খুশিমনে তাঁকে বিদায় দিয়ে আপনার বন্ধুদের সাথে দারুণ একটা ট্যুর প্ল্যান করায় মন দেবেন, অথবা নতুন কোনো গুণগ্রাহীর প্রতি!

তবে সবচাইতে কঠিন ব্যাপার হলো- কী হবে তা আপনি রিস্কটা নিয়ে তাঁকে ছাড়ার আগে কোনোভাবেই জানা সম্ভব নয়। তার আগপর্যন্ত, আপনার সমস্ত সিদ্ধান্তহীন ব্যবহারের ফলে নিজের প্রতি যতটুকু ভালবাসা আর প্রশংসা আপনার থাকা উচিত সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আপনার জন্য তাঁর সেই পরিমাণ ভালবাসা আর প্রশংসা তৈরি হওয়ার আগেই।

এতে আরেকটা ক্ষতি হয়, এ ধরনের ব্যবহার আপনার জীবনে সত্যিকারের ভালোবাসা আসার পথ আটকে দেয়। সত্য হলো, আপনি যদি এভাবে অতীত নিয়ে- বিশেষ করে মধ্যম মানের কোনোরকমভাবে চলতে থাকা বর্তমান নিয়ে- ঝুলে থাকেন, তাহলে কখনও কোনো ধারণাই করতে পারবেন না যে জীবনের ঝুলিতে ভবিষ্যতে কত দারুণ দারুণ জিনিস রাখা আছে।

আপনার পুরুষ সঙ্গীটি যা বিশ্বাস করেন তাই বলেন
তিনি যদি আপনাকে বলেন তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে তাহলে আপনার সিদ্ধান্ত খুব সহজঃ ছেড়ে চলে যান! কখনও কখনও ব্যাপারটা এতটাই পানির মতো স্বচ্ছ আর ভালবাসার পুরুষটি খুব সহজে আপনার সঙ্গে সবকিছু ভেঙেচুরে আলাদা হয়ে যেতে চান

এই পর্যায়ে এসে, তাঁর যুক্তি বা কারণগুলো কী কী সেসব নিয়ে একদম মাথা ঘামাবেন না; আপনার নিজের প্রতি দায়িত্ব হলো- শুনবেন আর সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাবেন। চরম ইগোসম্পন্ন পুরুষ বাদে সাধারণত পুরুষরা মনে মনে যা বিশ্বাস করেন তাই বলেন। মনে রাখুন।

পুরুষসঙ্গীর মুখের কথাকেই সত্য বলে ধরে নিন আর আপনার মন যা বলে সেভাবে উদ্যোগ নিন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যার সঙ্গে কয়েকমাস ধরে ভালোবাসার সম্পর্কে আছেন তিনি যদি হঠাৎ উধাও হয়ে যান তাহলে তাঁকে খুঁজে বের করে সরাসরি তাঁর মুখোমুখি হোন। জিজ্ঞেস করুন ঘটনা কী, কেন তিনি অকস্মাৎ গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর উত্তর মনোযোগ দিয়ে শুনুন, সেখান থেকে সত্য সূত্রগুলো খুঁজে নিন।

এটা কি শুধুই কাজের চাপের কারণে? তাঁর সাথে কোনো জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলুন, এক্সাইটিং কোনো ট্যুর প্ল্যান করতে চেয়ে দেখুন। তিনি যদি স্পষ্ট কোনো জবাব না দেন, তাহলে এমন সম্ভাবনা আছে- তাঁর এই দূরে সরে যাওয়া আপনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত আর আপনাদের দুজনের কাছে আসার ব্যাপারে তিনি সন্দেহে আছেন।

এটা কিন্তু কোনো খারাপ কিছু না! তার মানে হলো, তিনি আসলে সম্পর্কটা নিয়ে সতর্কভাবে ভাবছেন অথবা একসাথে জীবন কাটাতে চাইলে এরপর তাঁর জন্য কী কী অপেক্ষা করছে সে বিষয়ে বোঝার জন্য তাঁর কিছুটা স্পেস দরকার। তাঁকে সেই স্পেস নিতে দিন; প্রশ্নের বাণে আর আলটিমেটামে তাঁকে জেরবার করে তুলবেন না, এটা ভাববেন না যে এমন করলেই আপনি সম্পর্কের যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছেন তার সাথে একমত হয়ে তিনি সোজা এসে আত্মসমর্পণ করবেন।

আপনার জন্য সুখবর কী জানেন? যে স্পেস তাঁকে দিলেন সেই একই স্পেস আপনিও উপভোগ করবেন। তাঁকে স্পেস দিয়ে আবার চুপচাপ বসে দিন গুনবেন না। আপনার যা যা প্রিয় যেমন- বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দেয়া, ঘুরে বেড়ানো, নিজেকে সুন্দর রাখার পাশাপাশি ঠিক কী ধরনের সম্পর্ক আপনি কামনা করেন এবং সেই কাঙ্ক্ষিত মানুষটি কি তিনি কিনা এসব নিয়ে ভেবে সত্যি সত্যি নিজের স্পেস উপভোগ করবেন।

ব্যস্ত সময় কাটান
তিনি যখন ফোন করবেন ঠিক তখনই পড়িমরি করে ছুটে গিয়ে রিসিভ করার কোনো দরকার নেই। মেসেজ দিলে আপনার যখন সময় হবে তখন উত্তর দিবেন। তিনি দেখা করতে চাইলেই যে সব কাজ ফেলে দৌড় দিয়ে হাজির থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আর তাঁর টুকটাক কাজ সারার ব্যাপারেও সময় নেবেন, ছোটখাটো কাজে ছুটাছুটি করে হাঁপিয়ে মরবেন কেন?

আপনার শখ, লক্ষ্য, ক্যারিয়ার, বন্ধু ও পরিবার সব একসাথে মিলে আপনার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা দখল করে আছে, কাজেই সবকিছু উপভোগ করুন! নতুন নতুন জিনিস শিখুন, বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার ট্রাই করুন, বন্ধুদের সাথে হৈ-হুল্লোড় করুন আর কাজের জায়গায় আসন্ন প্রোজেক্ট নিয়ে লক্ষ্যস্থির করুন।

এভাবে সময় কাটালে আপনার ফ্রি টাইম কখন তা নিয়ে সঙ্গীর আগ্রহ থাকবে, আপনি তখন তাঁর জন্য কিছুটা সময় বের করলে তিনি খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাবেন। আপনার দুটি জগতকে পাশাপাশি মিলিয়ে মিশিয়ে চলুন আর শেষপর্যন্ত আপনার নিজের জীবনের ক্যালেন্ডারের উল্লেখযোগ্য অংশ হয়ে উঠুন।
ব্যস্ত থাকা কিন্তু তখনই কাজে লাগবে যখন আপনি আসলেই ব্যস্ত থাকবেন। আপনার বিশেষ মানুষটির সঙ্গে সফল সম্পর্ক চাইলে আপনার নিজস্ব একটা জীবন থাকতেই হবে। সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক সেখানেই জন্মায় যেখানে দুজন সত্যিকারের স্বাবলম্বী মানুষ একসাথে জীবন পাড়ি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে মনের মানুষের সাথে ভালোবাসা নিয়ে এতদিন যত কার্ড দেখেছেন সেগুলোর পুরো বিপরীত এই কথাগুলো। কিন্তু আজকের তাৎক্ষণিক সন্তুষ্টির যুগে সবারই কোনো সম্পর্কে যেতে হলে নিজেদের জীবন, আগ্রহের জায়গা আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রয়োজনীয়।

একটা সম্পর্কের সমস্ত দায়দায়িত্ব যদি একজনের কাঁধে এসে পড়ে তাহলে তা খুবই বাজে ব্যাপার। নিজের স্বপ্ন ও পছন্দের জিনিসের দায়িত্ব নিজে নিয়ে ফেলুন আর যা করলে আপনি সবচাইতে ভাল থাকেন তাই করুন। তারপর নাহয় দেখা যাবে মিস্টার রাইট মহাশয় আপনার দুর্দান্ত স্বতন্ত্র জীবনকে আরো ভাল কোনো কিছু দিতে পারেন কিনা। এমন ক্ষেত্রে সম্পর্কের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগতম জানানো যায় এবং অনেক বেশি রোমাঞ্চ উপভোগ করা যায়।

বিরামহীনভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা বন্ধ করুন
জি, ঠিকই পড়েছেন। খুব সহজ ব্যাপার। রহস্য, বুঝেছেন? নতুন ও পুরোনো বন্ধুদের সাথে যুক্ত থাকার একটা মজার জায়গা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। কিন্তু যখন আপনি নতুন কোনো সম্পর্ক শুরু করছেন বা পুরোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসছেন তখন এই জায়গাটাই খুব বিপদজনক প্রমাণিত হতে পারে।

আপনি খেয়াল করে উঠার আগেই, ক্রমাগত এখানে ঢুকছেন বেরোচ্ছেন আর শেয়ার দিচ্ছেন। বিখ্যাত ব্যক্তিদের কোটেশনযুক্ত ছবি আর সবার সবকিছুতে লাইক দিয়ে যে মনের সাম্প্রতিক দহন বুঝিয়ে দিচ্ছেন তা ভাবতেও পারছেন না। স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন আর প্রতিটি পোস্ট দেয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, “কার জন্য আমি এই পোস্ট দিয়ে নিজের শক্তি নষ্ট করছি”?

নিজের সময় আর শক্তিকে (আর অবশ্যই পোস্টগুলোকে) টাকা ভাবুন। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি খরচ করতে পারবেন। প্রতিবার ফেসবুকে কোনো মধ্যম মানের জোক শেয়ার করার আগে ভাবুন পোষাবে কিনা। অহেতুক টাকা অপচয় করবেন না।

নিজের প্রতি সৎ থাকুন আর সবচেয়ে কাছের কোনো বন্ধুকে এমন একটি মোক্ষম দুর্দান্ত কোটেশন লিখে শেয়ার দিন যা নিখুঁতভাবে আপনার অনুভূতিকে প্রকাশ করে। এটা একটা চাবি হিসেবে কাজ করবে, সঙ্গীর কাছে খবরটি পৌঁছে যাবে যে আপনি চলে গিয়ে তাঁকে ছাড়াই দারুণ জীবন যাপন করছেন, ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তখন আপনাকে মিস করা থেকে তাঁকে কেউ আটকাতে পারবে না।
আর একটি চরম গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো- সম্পর্ক থেকে বের হওয়ার পর দেরি না করে সেই মানুষটিকে ডিলিট করুন। এতে বোঝা যায় যে আপনি সত্যি ছেড়ে চলে গেছেন। কারো প্রতি অনুরাগ জন্মালে তড়িঘড়ি করে তাঁকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর দরকার নেই। কিছুদিন সময় নিন।

খুব প্রয়োজন ছাড়া কল বা মেসেজ দেবেন না
আপনার যদি সত্যিই কোনো প্রশ্ন বা কাজ থাকে তবেই কেবল তাঁকে কল বা মেসেজ দিন। এতে দায়িত্বশীলতা বোঝা যাওয়ার পাশাপাশি আপনার জীবনের ছকও ঠিকঠাক চলবে। এমন কোনো নিয়মে নিজেকে বেঁধে ফেলার দরকার নেই যে ঠিক এত দিন অপেক্ষা করতে হবে তাঁর ফোনের জন্য বা যোগাযোগের ব্যাপারে পুরুষদেরই প্রথম এগিয়ে আসা উচিত।

কোনো মেয়ের কন্ঠ শুনতে পাওয়া যায় কিনা তাই কল করা, কেঁদে কেঁদে তাঁকে দেখা করার জন্য বাধ্য করা, তাঁর মুখ থেকে ভালবাসার কথা শুনতে চাওয়ার মতো ‘বদভ্যাস’ থাকলে আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পারলে এক্ষণ ফোনটাকে আছাড় মারুন। নাহলে বিরত থাকুন।

আপনি যদি বলে ফেলেন যে চলে যাচ্ছেন, তাহলে আসলেই চলে যান এবং সেটায় স্থির থাকুন। মনে রাখুন কেন সম্পর্ক থেকে বের হতে চেয়েছিলেন। দুর্বল মুহূর্তে নিজের মনের জোর বাড়ান।

বারবার ছেড়ে গিয়ে যোগাযোগ করা, আবার একই ঘটনা ঘটানো- এসব আপনার ব্যক্তিত্বের ক্ষতি করে। তাই যখন সত্যিই নিশ্চিত হয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তখন তিনি ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি নেবেন না। এর মানে এই নয় যে আপনি আর কোনোদিন তাঁর কাছে ফিরতেই পারবেন না। যদি একটা সময় পরে দুজনের মনে হয় যে আবার এক হওয়া দরকার তখন ফিরবেন।
নিজেকে জানার জন্য আগে দরকার নিজের নেয়া প্রতিজ্ঞায় স্থির থাকা। বেশ কিছুটা সময় স্থির থেকে ভাবলে নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার জন্য কী সবচেয়ে ভাল হবে।

আপনি কে তা জানার চেষ্টা করুন
অদ্ভুত ব্যাপার হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে কোনো নারী যদি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে সম্মানজনকভাবে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যান, তাহলে কিছু দিন/সপ্তাহ/মাস এমনকি বছর পরে হলেও পুরুষটি ফিরে আসেন।
তিনি আপনাকে মিস করবেন, আপনি কী কী করছেন আর তাঁকে ছাড়া এত আনন্দে কীভাবে আছেন তা ভেবে অবাক হবেন। তবে এটা ধরে নিয়েই ছেড়ে যাবেন না, ছেড়ে যাওয়ার কারণ থাকলেই যান। কষ্ট হবে, অনেক বাজে লাগবে; কিন্তু একটা দমবন্ধ সম্পর্কে থাকার চাইতে সামনে এগিয়ে যাওয়া অনেক উত্তম এবং গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি যদি ফিরে আসেন তাহলে সে পর্যায়ে পৌঁছে আপনি ভাবতে পারবেন যে আপনি কি সেসময়েও আগের মতোই তাঁর ব্যাপারে আগ্রহী কিনা। গোপন টিপসঃ মিস্টার রাইট মহাশয় যিনি, তিনি কিন্তু তাঁর ভুল বুঝে সবকিছু ঠিক করার উদ্দেশ্যে আপনার কাছে ফিরে আসতে দেরি করবেন না।
শুধু মনে রাখবেন আপনি কেন চলে গিয়েছেন আর কেন এভাবে কিছুটা সময় থাকা দরকার। অনেক কষ্ট হবে কিন্তু এই সম্মান আর সাহসের জন্য ভবিষ্যতে নিজেই অনেক ধন্যবাদ দেবেন নিজেকে।

নিজের জন্য ভালোবাসা আর সম্মান দেয়ার ফলে মিস্টার রাইট যখন আসবেন (নতুন কেউ বা আগেরজনই যদি ভুল শুধরে ফিরে আসেন) তিনি আপনাকে আর আপনার চাওয়া-পাওয়া সম্পর্কে অনেক বেশি বুঝে নিয়ে আসবেন। দুজনের মাঝের আলাপ, ঝগড়া, তর্ক- সবই তখন আরো স্পষ্ট হবে। নিজে কী চান তা বুঝতে পারলেই না আপনার পুরুষসঙ্গী আপনাকে বুঝতে পারবেন!

তথ্যসূত্র: এলিট ডেইলি.কম-এ প্রকাশিত থেরেসা মরিয়ার্টির লেখা অবলম্বনে

আরও পড়ুন ::

Back to top button