ঝাড়গ্রাম

নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে মোরাম বোঝাই গাড়ি চলাচল, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কংসাবাতী ক্যানালের সেতু

নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে মোরাম বোঝাই গাড়ি চলাচল, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কংসাবাতী ক্যানালের সেতু

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: দূর্বল সেতু। তাই ভারী গাড়ি যাতায়াতে নিষেধাঞ্জা ছিল। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করেই চলছিল গাড়ি। যার জেরে ঘটল দুর্ঘটনা। মোরাম বোঝাই ভারী ট্রাক যাওয়ার সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেতু। জখম হয়েছেন চালক। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর অঞ্চলের ঝাড়াগেড়িয়া গ্রামে।

জানা গিয়েছে, ওই সেতুটি দূর্বল হওয়ায় শুধু মানুষের পারাপারের জন্য ব্যবহার হতো সেটি। কিন্তু রেলের থার্ড লাইনের কাজ চলায় মোরাম-সহ নানা সামগ্রী বোঝাই ভারী গাড়ি যাতায়াত শুরু করেছিল নড়বড়ে সেতুর উপর দিয়ে। বারবার এর প্রতিবাদ করেছিলেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, তাতে কোনও কাজ হয়নি। ফলে যা হওয়ার তাই হল। মোরাম বোঝাই ভারী ট্রাক যাওয়ার সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেতু। অল্পের জন্য প্রাণ বেঁচেছেন চালকের।

আরও পড়ুন : কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি শিকেয়, ক্ষুব্ধ শ্রম দপ্তরের আধিকারিক-দল

এবিষয়ে ঝাড়গেড়িয়ার বাসিন্দা ডাক্তার মুর্মু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই কংসাবাতী ক্যানালের এই সেতুটি অত্যন্ত দূর্বল অবস্থায় ছিল। সেতুর পাশে ভারী গাড়ি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা মূলক বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিয়ম অমান্য করে গাড়ি চলছিলই। আজ মোরাম গাড়ি-সহ সেতুটি ভেঙে পড়ে। প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘটতে পারত। আমাদের আরজি দ্রুত নতুন করে সেতুটি করে দেওয়া হোক। কারণ, ঝাড়গ্রাম যাওয়ার এটাই প্রধান রাস্তা।

রুজি-রোজগারের জন্য, নানা কাজে এবং ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল যেতে হয় এই রাস্তা দিয়েই। কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে অনেকটা ঘুর পথে যেতে হচ্ছে।” ঝাড়গ্রাম কংসাবতি ক্যানাল ৫-এর এগজিকিউটিভ ইনঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় দাস বলেন, “রেলের কাজ চলছে। আরভিএনএলের গাড়ি যাতায়াত করে ক্যানালের সেতুটি ভেঙে দিয়েছে। দপ্তরে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি। ব্রিজের কাজ হবে।তবে ওরা বলেছে করে দেবে।” আরভিএনএলের এজিএম বিজয় কুমার বলেন, “ওখানে সে সংস্থা কাজ করছে তাঁরা ভুল করেছে। ওরাই ব্রিজ বানিয়ে দেবে।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button