আন্তর্জাতিক

পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছে জাপান

পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছে জাপান
প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে

গত ২৮ আগস্ট পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ২০১২ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর গত সপ্তাহেই জাপানের ইতিহাসে দীর্ঘ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকার রেকর্ড গড়েন তিনি। কিন্তু স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তিনি আকস্মিক পদত্যাগ করেছেন।

তবে এক বছরের বেশি সময় আগে থেকেই নিজের দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকে পদত্যাগের চাপে ছিলেন শিনজো আবে। এর আগে ২০০৭ সালে স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে আচমকা তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বিবিসি জানিয়েছে, শিশুকাল থেকেই স্বাস্থ্যগত একটি জটিল সমস্যায় ভুগছেন শিনজো আবে।

গত মাসে প্রধানমন্ত্রী তার নিজ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় রক্তবমি করেছিলেন উল্লেখ করে একটি সংবাদ সাময়িকীতে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সরকারের পক্ষ থেকে তখন অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভোগার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছিল।

তবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শিনজো আবের পদত্যাগকে অনেকেই তার পরাজয় হিসেবে দেখছেন। কারণ এখনও তার অনেক কাজ অসমাপ্তই রয়েই গেছে। গত কয়েক দশক ধরেই জাপানের অর্থনীতি খারাপের দিকে গেছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শিনজো আবে অর্থনীতির চাকা সচল করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এর জন্য কঠোর শ্রম দিয়েছেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাসের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে। করোনার প্রভাবে জাপানের শিল্প কারখানার উৎপাদন, বিশেষ করে পর্যটন খাত ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে। চলতি বছরের বাকি সময়ে জাপানের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রায় শূন্য।

আরও পড়ুন : সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই সেনা মোতায়েন নেপালের

পদত্যাগের আগে শিনজো আবে আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, চলতি বছরের গ্রীষ্মে টোকিও অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার পদত্যাগের পর সেটাও অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে গেল।

তবে করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে জাপান অনেকটাই সফল বলা চলে। ১২ কোটি ৬৫ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মাত্র ৬৯ হাজার ৫৯৯ জন। দেশটিতে মৃত্যুহারও অনেক কম। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৩১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর আবের উত্তরসূরিু নির্বাচন করবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। জাপানের পরবর্তী ক্ষমতা গ্রহণ করবেন তিনি। বর্তমানে জাপানে যেসব সমস্যা রয়েছে তাতে আবের প্রস্থানের চেয়ে এখন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন সেটাই জাপানিদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

দেশটির সংবিধান হয়তো অপরিবর্তিত থাকবে। তবে এটা অনস্বীকার্য যে, জাপানকে বিশ্বের দরবারে আরও বিশ্বাসযোগ্য শক্তিধর দেশ হিসাবে প্রমাণ করেছেন আবে। তিনি দেশের সামরিকখাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছেন, দেশের সামরিক বাহিনীকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া এবং শান্তিরক্ষী মিশনে অংশ নিতে পাঠিয়েছেন।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button