৮৭ তে কালজয়ী আশা ভোঁসলে
৮৭ বছরে পা রাখলেন সংগীতের কালজয়ী শিল্পী আশা ভোঁসলে। চিরাচরিত হিন্দি গানের ছক ভেঙে এক নতুন ধারার গায়কী তৈরি করেছিলেন আশা। শাস্ত্রীয় সংগীত থেকে শুরু করে মেলোডি, পপ বা লোকসংগীত সব ধাঁচের সংগীতেই হৃদয় ছুঁয়েছে আশার সুর-মূর্ছনা।
তবে তার দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ার কিংবা ব্যক্তিগত জীবন কোন কিছুতেই যেন কোন অনুশোচনা নেই।এবারের জন্মদিনে তার সকল ভক্ত, অনুরাগী ও শুভাকাঙ্খীদের উদ্দেশ্যে এমনটাই বার্তা জানিয়েছেন আশা।
সেই সাথে এবারের জন্মদিনে একদম প্রথম রাত থেকেই ছেলে, পূত্রবধু ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে পছন্দের ফ্রেশ ক্রিম ফ্রুট কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেছেন তিনি। কেকের সাথে আরো ছিল চাইনিজ ও জাপানিজ নানান পদের খাবার।
চলমান করোনা পরিস্থিতে হাতে তেমন কাজ না থাকলেও গৃহবন্দী জীবন বেশ ভালোই কাটাচ্ছেন বলেও জানান আশা ভোঁসলে। কেননা অন্য সময় নিজ পরিবারকে সেভাবে সময় দিতে না পারলেও লকডাউনের সময়টি পুরোপুরি ভাবে পরিবারকে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, পরিবারের সদস্যদের জন্য নানা পদের রান্না করেও সময় কাটিয়েছেন।
আরও পড়ুন : বলিউডের ২৫ তারকার নাম ফাঁস করেছেন রিয়া
ষাটের দশকে যখন গীতা দত্ত, শামসাদ বেগম, লতা মঙ্গেশকরের রাজত্ব, ঠিক তখনই বলিউডে আসেন আশা ভোঁসলে। বলিউডে তার পদার্পণ খুব একটা সহজ ছিল না। কেননা প্রথম দিকে তাকে ভালো কোনো গানই দিতে চাননি প্রথিতযশা সংগীত পরিচালকরা। দেওয়া হত অপেক্ষাকৃত কম বাজেটের সিনেমার গান।
তবে তিনি নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা দিয়েই ধীরে ধীরে বলিউডের মেইনস্ট্রিমে জায়গা করে নেন। ১৯৫৩ সালে পরিচালক বিমল রায়তার ‘পরিণীতা’ সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন আশাকে। এরপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। সেই বীরদর্পের তার পথচলা যেন আজো সংগীতপ্রেমীদের কাছে অনন্য হয়ে রয়েছেন।