বিনোদন

‘অবসাদগ্রস্তকে মাদক দেওয়া কি উচিত কাজ’, প্রশ্ন সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডের

‘অবসাদগ্রস্তকে মাদক দেওয়া কি উচিত কাজ’, প্রশ্ন সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডের

রিয়া চক্রবর্তী গ্রেফতার হওয়ার পরে ইনস্টাগ্রামে সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা লোখান্ডে লিখেছিলেন ‘এ হল কর্মের ফল’। অঙ্কিতা সেই মন্তব্যের পক্ষেই যুক্তি দিয়ে আবারো একটি পোস্ট করলেন ইনস্টাগ্রামে। সুশান্তের মানসিক অবস্থা ঠিক নয় জেনে ওড়িয়া তাকে ড্রাগ দিয়েছেন এই বিষয়টির নিন্দা করবেন তিনি।

অঙ্কিতা লিখেছেন, “আমি আবার পরিষ্কার করে বলছি। মিডিয়া জিজ্ঞাসা করছে, আমার কী মনে হয় এটা আত্মহত্যা নাকি খুন? আমি কখনো বলিনি এটা খুন এবং কোউন নির্দিষ্ট মানুষকে এর জন্য দায়ী করিনি। আমি শুধু আমার প্রয়াত ও বন্ধু সুশান্ত সিং রাজপুত এর জন্য বিচার চেয়েছি এবং তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।

আর সত্যিটা তদন্তকারী সংস্থাগুলি সামনে আনবে এই আশা করছি। একজন মহারাষ্ট্রিয়ান এবং ভারতীয় নাগরিক হিসেবে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার, পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উপর আমার আস্থা রয়েছে। আমার জন্য যদিও এখন ‘সতীন’ ‘বিধবা’ এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আমি এর কোন উত্তর করিনি।”

আরও পড়ুন : এবার সীতার ভূমিকায় আনুশকা

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে অঙ্কিতা জোর দিয়ে জানিয়েছিলেন যে সুশান্ত অবসাদে চলে যাওয়ার মতো মানুষ নন। জীবনকে হেসেখেলে উপভোগ করতেন অভিনেতা। তাই আত্মহত্যা করা তার পক্ষে অসম্ভব। এই প্রসঙ্গে অঙ্কিতা ফের বলেছেন, “আমি শুধু ২০১৬ পর্যন্ত সুশান্তের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল সেটুকু মানুষকে জানিয়েছি।”

‘অবসাদগ্রস্তকে মাদক দেওয়া কি উচিত কাজ’, প্রশ্ন সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডের

নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে অংকিতা লিখেছেন, “প্রিয় নিন্দুকরা! আমার ধারণা আপনারা আপনার বন্ধুর (রিয়া) সম্পর্কে সমস্তটা জানেন এবং তার জীবন ও সম্পর্কে কি চলছিল সেটাও জানেন। আপনারা শেষ পর্যন্ত জেগে উঠেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। তবে আপনারা যদি আরো একটু আগে জেগে উঠতেন এবং আপনাদের বন্ধুকে সুশান্তের মাদকাসক্তিকে আস্কারা দিতে বারণ করতেন খুব ভালো হতো।”

রিয়া চক্রবর্তীর নাম না করে অঙ্কিতা বলেছেন, “জনসমক্ষে ওজর দিয়ে বলেছে সুশান্ত অবসাদগ্রস্ত ছিল। ও যখন ভালো করেই জানত সুশান্তের মানসিক অবস্থা, তাহলে কি একজন অবসাদগ্রস্ত মানুষকে ড্রাগ দিয়ে ও ঠিক কাজ করেছে? এটা কি কোন ভাবে সুশান্তকে সাহায্য করেছে? বলা হচ্ছে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছে।

অর্থাৎ ওর অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে যে এরকম একটি পদক্ষেপ করতে পেরেছে ও। আটটার সময় সুশান্তের সবচেয়ে কাছের মানুষ তো ও-ই ছিল। একদিকে ও বলছে চিকিৎসকদের সঙ্গে সুশান্তের মানসিক অবস্থা ভাল করার জন্য ও নিয়মিত কথা বলত। আবার অন্যদিকে মাদক পাচারকারীদের থেকে সুশান্তের জন্য ড্রাগ আনত।”

আরও পড়ুন : শিবসেনার তোপের মুখে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা

রিয়ার গ্রেফতার হওয়া কেন ‘কর্মের ফল’ সেই বিষয়ে অঙ্কিতা বলেছেন, “কেউ কাউকে যদি ভালবাসে, এবং জানিয়ে যে মানুষটার মানসিক অসুস্থতা রয়েছে তাহলে সেই অবস্থায় কেউ ড্রাগ দিতে পারে? আপনি সেটা করবেন? আমি মনে করি , কেউ সেটা করবে না। তাহলে এটা কে কেন দায়িত্বহীনতা হিসেবে দেখা হচ্ছে না?

ও বলেছে যে সুশান্তের পরিবারকে তার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছিল। কিন্তু ড্রাগ নেওয়ার কথা কি ও জানিয়েছিল? আমি নিশ্চিত ও জানায়নি। কারণ এই ব্যাপারটা ও নিজেও উপভোগ করত। আর তাই আমি মনে করি এটা কর্মের ফল।”

অঙ্কিতা কে অনেকেই আক্রমণ করেছেন এরমধ্যে। তাদের উদ্দেশ্যে অভিনেত্রী বলেছেন, “আপনাদের যাদের চিনি না তাদের জন্য একটা ছোট্ট উপদেশ রয়েছে। আপনারা আপনার বন্ধুকে সমর্থন করুন। আমি সুশান্তের পরিবারের পাশে আছি। কিন্তু একটা সভ্যতা বজায় রাখি। পরস্পরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে নিজেদের বিরত রাখি।”

 

সূত্র: কলকাতা ২৪*৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button