জাতীয়

২০২২ সালের মধ্যে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকরের আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

২০২২ সালের মধ্যে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকরের আর্জি প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

আরও একবার নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির পক্ষে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্কুল এডুকেশন কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ ভারতকে একবিংশ শতকে দিক নির্দেশ করবে, নয়া যুগের সূচনার সোপান হল এই শিক্ষানীতি।’ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ভারতের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করবে নয়া শিক্ষানীতি।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র সমালোচনায় সরব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। মোদী সরকার শিক্ষাকে গেরুয়াকরণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তাদের। এ দিন অবশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিগত চার থেকে পাঁচ বছর ধরে কঠিন পরিশ্রম করে এই শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে।

বহু শিক্ষাবিদের মতামত নেওয়া হয়েছে। গোটা দেশে এই শিক্ষানীতি কার্যকর করতে হবে। সকলকে মিলিত ভাবে এই শিক্ষানীতি নিয়ে কাজ করতে হবে।’ তিনি জানিয়েছেন, পরামর্শ জানানোর জন্য সরকারি ওয়েবসাইটে ১৫ লক্ষেরও বেশি মতামত এসেছে। যার পর্যালোচনা চলছে।

আরও পড়ুন : চিনকে চাপে রাখতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন মোদীর

২০২২ সালের মধ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ দেশজুড়ে লাগুর করার জন্য এ দিন আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ‘পড়তে পড়তে আমরা শিখি। কিন্তকু তার বাইরেও আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। আমি ২০২২ সালের মধ্যে সকল পড়ুয়াদের জাতীয় মিশনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন করব। শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সকলে এগিয়ে আসুন, আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতিকে সফলভাবে প্রয়োগ করুন।’

নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুল এবং উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে একগুচ্ছ সংস্কারমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০৩৫ সালের মধ্যে স্কুল স্তরের পড়াশোনা পাশ করার পরে অন্তত ৫০ শতাংশ পড়ুয়া যাতে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি হয় তার ব্যবস্থা করা।

পাশাপাশি মাল্টিপল এন্ট্রি এবং এক্সিটের সুবিধা দেওয়ার সংস্থানের কথা বলা হয়েছে নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতিতে। যে কোনও সময় সহজে ভর্তি হওয়া যাবে কলেজে এবং বেরিয়ে যাওয়াও যাবে। উচ্চ মাধ্যমিকের পদ্ধতিতে বদল আসছে।

 

সূত্র: The Indian Express বাংলা

আরও পড়ুন ::

Back to top button