ঝাড়গ্রাম

তিন যুদ্ধের প্রাক্তন সেনার জীবনাবসান

তিন যুদ্ধের প্রাক্তন সেনার জীবনাবসান

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: দেশের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করেছেন। শুরুতে ইংরেজ সরকারের সেনাকর্মী। পরে স্বাধীন ভারতের সৈনিক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে যোগ দেওয়া প্রাক্তন সেনাকর্মী রমেশচন্দ্র দে প্রয়াত হলেন। একশো ছুঁই ছুঁই বর্ষীয়ান দৃঢ়চেতা মানুষটির কথা অনেকেই জানেন না।

ঝাড়গ্রামের ভূমিপুত্র রমেশবাবু গত শুক্রবার সকালে শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুরে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন। গোপীবল্লভপুরের আদি বাসিন্দা রমেশবাবু মাত্র ২০ বছর বয়সে ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ার ফৌজে যোগ দেন।

১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে লড়াই করেছেন। স্বাধীনতার পরে ১৯৬২ সালে চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধেও তিনি যোগ দেন। সেই যুদ্ধের পরে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।পরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দায়িত্বে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেছেন রমেশবাবু।

১৯৮০ সালে অবসর নেওয়ার পরে ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা হন। স্ত্রীর নামে বাড়ির নাম রাখেন ‘ভারতী ভবন’। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। বয়সের ভারে হাঁটাচলা করতে পারতেন না। তবে স্মৃতি-শক্তিও ভালই ছিল। তিনটি যুদ্ধে যোগ দেওয়ার স্মৃতিচারণ করতেন। তিনি রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী, তিন ছেলে, তিন বৌমা ও নাতি-নাতনিদের।

ভারতীয় প্রাক্তন সৈনিক সঙ্ঘের ঝাড়গ্রাম শাখার সম্পাদক দিলীপ শতপথী রমেশবাবুর বাসভবনে গিয়ে শেষশ্রদ্ধা জানান। মরদেহে জাতীয় পতাকা দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button