আন্তর্জাতিক

কেমিক্যাল দিয়ে ধর্ষকদের নপুংসক করে দেওয়ার প্রস্তাব ইমরান খানের

কেমিক্যাল দিয়ে ধর্ষকদের নপুংসক করে দেওয়ার প্রস্তাব ইমরান খানের

কিছুদিন আগে পাকিস্তানের লাহোর হাইওয়ের উপরে ফ্রান্সের এক নারীকে তার দুই সন্তানের সামনেই গণধর্ষণ করে একদল দুষ্কৃতী। পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে তারা নির্যাতিতাকেই এর জন্য দায়ী করে। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই লাহোরের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাণ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বুঝতে পেরে ইতিমধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতারও করেছে পাকিস্তানের পুলিশ।

এই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার বা কেমিক্যাল ব্যবহার করে তাদের নপুংসক বানানোর প্রস্তাব দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, ‌এই ধরণের জঘন্য যৌন অপরাধগুলির ক্ষেত্রে দোষীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া উচিত। কিন্তু এই ধরণের পদক্ষেপ নিলে তা অন্য দেশগুলির সঙ্গে থাকা বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। পড়তে হতে পারে আন্তর্জাতিক মহলের ক্ষোভের মুখেও। কারণ ইওরোপীয় ইউনিয়নগুলির মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি অনেকেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী।

আরও পড়ুন : সৌদি ‘সঠিক সময়ে’ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে: প্রত্যাশা ট্রাম্প

এরপরই এই ধরনের অপরাধে যুক্ত ধর্ষকদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করার পক্ষে সরব হন তিনি। ইমরান খান বলেন, আমি মনে করি এই ধরনের অপরাধীদের উপর কেমিক্যাল প্রয়োগ করে তাদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া উচিত। বিশ্বের অনেক দেশেই এই শাস্তি দেওয়া হয় বলে আমি পড়েছি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে লাহোর এর উপর দিয়ে গুজরানওয়ালা প্রদেশে যাচ্ছিলেন ফ্রান্সের ওই নারী। লাহোর হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ তার গাড়ির তেল ফুরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে ফোন করে নিজের বিপদের কথা জানান তিনি।। তারপর স্বামীর পরামর্শ মতো পুলিশকে ফোন করে সাহায্য করার আবেদন জানান।

কিন্তু পুলিশ আসার আগেই সেখানে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক এসে হাজির হয়। তারপর গাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে তাকে বাইরে বের করে তার দুই সন্তানের সামনেই একে একে ধর্ষণ করে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে এই পাশবিক ঘটনা ঘটলেও পুলিশের কোনও টহলদারি ভ্যানকে দেখা যায়নি। এদিকে নিজেদের বিকৃত লালসা চরিতার্থ করার পর দুষ্কৃতীরা ওই নারীর তিনটি এটিএম কার্ড ও সঙ্গে থাকা টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button