আন্তর্জাতিক

পদত্যাগ করবেন লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী

পদত্যাগ করবেন লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী

আগামী অক্টোবরের শেষে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সিরাজ। দীর্ঘদিন ধরে চলা দেশটির সংঘাত নিরসনে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে নতুন একটি নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর সঙ্গে জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় আলোচনাকে নতুন প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে নিয়ে যেতে এবং দেশকে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ফায়েজ আল সিরাজ যখন লিবিয়ার ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তখন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছিলো বিদ্রোহী সামরিক নেতা খলিফা হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) হাতে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে ২০১৯ সালের এপ্রিলে ত্রিপোলি অভিমুখে অগ্রসর হতে শুরু করে এলএনএ। তবে জুনে থেকে তুরস্কের সমর্থনে আল সিরাজের সরকারি বাহিনী তাদের পরাজিত করতে শুরু করে। বর্তমানে রাজধানীর উপকণ্ঠসহ পশ্চিমাঞ্চলীয় বেশিরভাগ শহর থেকেই হাফতার বাহিনী বিতাড়িত হয়েছে।

আরও পড়ুন : যেভাবে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট কেন্দ্র হয়ে উঠছে সিঙ্গাপুর

প্রচণ্ড আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এ মাসের শুরুতে লিবিয়ায় সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলো বৈঠকে বসতে বাধ্য হয়। ওই বৈঠকে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে লিবিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রাথমিক একটি চুক্তিতে সম্মত হয় তারা।

বুধবারের সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সিরাজ বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে পরবর্তী প্রশাসনের কাছে অক্টোবরের শেষ নাগাদ দায়িত্ব হস্তান্তরের ইচ্ছা পোষণ করছি।’

উল্লেখ্য, জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ওই ঐশ্বর্য নিশ্চিত করেছিল, সেটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ২০১১ সালে যখন পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়।

তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন সংঘাত। গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার রয়েছে। ওই কর্তৃপক্ষকে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার বা জিএনএ নামে অভিহিত করা হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button