আন্তর্জাতিক

গাড়ি নির্মাণ শিল্পে টেসলার বিপ্লবে রাজত্ব করবে কে?

গাড়ি নির্মাণ শিল্পে টেসলার বিপ্লবে রাজত্ব করবে কে?

সাম্প্রতিক সময়ে টেসলার প্রধান এলন মাস্ক এবং ভক্সওয়াগনের চেয়ারম্যান হার্বার্ট ডায়েসকে এক সঙ্গে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে কি নতুন কোনো চুক্তি হয়েছে? যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি ভক্সওয়াগন।

গাড়ির বাজারে এই দু’টি প্রতিষ্ঠান একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই এলন মাস্কের সঙ্গে হার্বার্টকে দেখতে পাওয়া একটি বিরল ঘটনাই বটে। এলন মাস্কের হাত ধরে ইলেক্ট্রিক গাড়ির সঙ্গে পরিচিত হয়েছে বিশ্ব। দীর্ঘদিন ধরেই গাড়ির বাজারে এ ধরনের গাড়ির চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে।

তাই তাদের মধ্যে এই বৈঠককে গাড়ির শিল্পে ইলেক্ট্রিক যানের গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লব হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ফলে পেট্রোল থেকে ইলেক্ট্রিক নির্ভরতার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে গাড়ি শিল্প। আর তা থেকেই প্রশ্ন জাগছে এই বিপ্লবের ফলে ইলেক্ট্রিক গাড়ির বাজারে রাজত্ব করবে কে?

এই প্রযুক্তিতে গাড়ি চালানোর ব্যাটারি, মোটরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গাড়ি পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সফ্টওয়্যারের প্রয়োজন হয়। এছাড়া এ ধরনের গাড়ি চালক ছাড়া একাই যেন চলতে পারে তার জন্যও বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়ে থাকে।

বর্তমানে ইলেক্ট্রিক মোটর উৎপাদনের কাজ করছে ২৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। গাড়িতে ব্যবহারের জন্য ৪৭টি ব্যাটারির ফ্যাক্টরি নির্মাণাধীন রয়েছে। একচেটিয়াভাবে ইলেক্ট্রিক গাড়ির তালিকাভুক্ত প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের গাড়ির পেছনে ৪শ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখের মতো গাড়ি উৎপাদন হতে পারে। এতে খরচ হবে কমপক্ষে ৬৭০ বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন : তালেবানের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি হামলা, নিহত ৫২

ইলেক্ট্রিক গাড়ি শিল্পের মূল নিয়ন্ত্রণ এখন এলন মাস্কের হাতেই। তার প্রতিষ্ঠান এখনও সবার চেয়ে এগিয়ে আছে। গত জুলাই মাসে টেসলা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টয়োটাকেও ছাড়িয়ে গেছে। তারা ৩ লাখ ৭০ হাজার গাড়ি নির্মাণ করেছে। আগস্টে টেসলার আয় ছিল ৪৫০ বিলিয়ন ডলার।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারির কারণে চলতি বছর গাড়ির বিক্রি ২৫ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইলেক্ট্রিক গাড়ির চাহিদা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি এ ধরনের গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের মূল্যও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

ধারণা করা হচ্ছে যে, আগামী তিন বছরে এই গাড়িগুলোর চাহিদা থাকবে তুঙ্গে। ২০৩০ সালের মধ্যে শেয়ারের দাম ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই মূহুর্তে টেসলাকেই ইলেক্ট্রিক গাড়ির বাজারে শীর্ষস্থানে রেখেছেন বেশিরভাগ মানুষ। অন্য যে কোনো গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে তাদের উৎপাদন বেশি এবং বিক্রিও বেশি।

অনেকেই আবার ব্যাটারি প্রযুক্তিতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে টেসলাকে দুই বা তিন বছর এগিয়ে রেখেছেন। কারণ অন্যদের চেয়ে চিন্তা-ভাবনা এবং নির্মাণে তারা অনেক বেশি অগ্রসর।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button