কলকাতা

মহাষষ্ঠী ও মহাসপ্তমীর দিনে পড়ল UGC NET পরীক্ষা ; প্রতিবাদে সরব ‘ঐক্য বাংলা’

মহাষষ্ঠী ও মহাসপ্তমীর দিনে পড়ল UGC NET পরীক্ষা ; প্রতিবাদে সরব 'ঐক্য বাংলা'

নিজস্ব সংবাদদাতা , কলকাতা : সমগ্র ভারতে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও অন্যান্য পদের শিক্ষকদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয় UGC NET পরীক্ষার মাধ্যমে। গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে সেই পরীক্ষার সময়সূচিতে রয়েছে ২১শে অক্টোবর ও ২২শে অক্টোবর যা আসলে দুর্গাষষ্ঠী ও দুর্গাসপ্তমী ।

এর পর থেকেই প্রতিবাদে সরব হল বাংলার প্রথম মুক্তপন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন ‘ঐক্য বাংলা’ও।

যেভাবে মহাষষ্ঠী ও মহাসপ্তমীর দিন পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হল , তা কিভাবে দেখছে ‘ঐক্য বাংলা’ ?

উত্তরে কার্যতঃ ক্ষোভ উগরে দেন ‘ঐক্য বাংলা’র সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী সুলগ্না দাশগুপ্ত। তিনি বলেন , “কেন্দ্রীয় সরকার কবে বাংলা ও বাঙালির কথা ভেবেছে ? স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে , বাঙালিকে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে।

বাঙালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর সময় বাঙালি বিদ্বেষী কেন্দ্রীয় সরকার যে পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করবে , এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমি শুধু জানতে চাই দিওয়ালি, অথবা মহারাষ্ট্র এর গণেশ চতুর্থী, এমনকি বিহারের ছট – এরকম কোনো উৎসবের দিনে এই পরীক্ষা ফেলার ক্ষমতা হত কেন্দ্র সরকারের? ”

কিভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ করছে ‘ঐক্য বাংলা’ ?

উত্তরে ঐক্য বাংলার তরুণ সদস্য দেবায়ন সিংহ জানান , ” আমরা গত রবিবার আমাদের সামাজিক মাধ্যমে একটি গণ ইমেইল কর্মসূচির আয়োজন করেছি যেখানে প্রধানমন্ত্রী , কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী , UGC , NET সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ষষ্ঠী ও সপ্তমীর দিন পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।”

আরও পড়ুুন: ২৫ ওয়েব সিরিজ আনছে হইচই

তবে শুধুই গণ ইমেইল কর্মসূচিতে থেমে নেই ‘ঐক্য বাংলা’র প্রতিবাদ।

‘ঐক্য বাংলা’র আরেকজন নেতৃত্বস্থানীয় সদস্য অভিজিৎ গুহ নিয়োগী যোগ করেন , “গণ ইমেইল কর্মসূচি প্রতিবাদের একটা ছোট্ট অংশ। পাশাপাশি আমরা সামাজিক মাধ্যমে জনমত গঠনের কাজ করে চলেছি নিরন্তর।

আমরা রাজ্য এবং কেন্দ্রস্তরের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এ চিঠি দেবো এবং প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। এই তীব্র বাঙালি বিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত যা যা প্রয়োজন আমরা সব কিছুই করব এটা আমাদের অঙ্গীকার।”

এই প্রতিবাদ কর্মসূচি কি আদৌ সফল হবে ?

‘ঐক্য বাংলা’ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ঐক্যযোদ্ধা সৌম্য চৌধুরী স্পষ্ট জানান , “আমরা ছোট সংগঠন কিন্তু আমাদের বিশ্বাস এবং আদর্শ অবিচল। সেজন্যেই এর আগেও আমরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে সাফল্য অর্জন করেছি। এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমার ধারণা।”

আশাবাদী ‘ঐক্য বাংলা’র দেবায়ন সিংহ- ও। তিনি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেন , ” বাঙালি ক্রমশ বুঝতে পারছে কে তার ভালো চায় , কে তার মন্দ চায়। বাঙালিকে বোকা ভাবা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। ”

যেভাবে একের পর এক বিভিন্ন ইস্যুতে ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করে সাফল্য লাভ করছে সাত মাস বয়সী এই মুক্তপন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন , তাতে নিশ্চিত করে বলাই যায় যে ভবিষ্যতে তারা আপামর বাঙালি সমাজের আশা – ভরসার একটি প্রতীক হয়ে উঠবে।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button