রাজনীতি

কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকার কাটমানিতে ভোটে লড়তে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী: বাবুল সুপ্রিয়

কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকার কাটমানিতে ভোটে লড়তে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী: বাবুল সুপ্রিয়

রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম কিষাণ প্রকল্প চালু করতে শর্ত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা না পাঠিয়ে নবান্নকে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই শর্ত শুনে তাঁকে কড়া আক্রমণ করলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই শর্তের মধ্যেই গল্পটা লুকিয়ে আছে। এতোদিন এই দুই প্রকল্প বাংলায় বাস্তবায়িত করতে চায়নি। কিন্তু এখন ভোট আসছে। ভাবছে কেন্দ্র এই দুই প্রকল্প বাবদ যে কোটি কোটি টাকা দেবে তা থেকে কাটমানি খাবে। ওই টাকা দিয়ে ভোটে লড়বে।’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, তৃণমূল সরকার যদি কেন্দ্রকে এতটাই বোকা ভাবে? গরিব মানুষের টাকা থেকে যাতে কেউ কাটমানি খেতে না পারে সে জন্যই ডাইরেক্ট ট্রান্সফারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পিএম কিসান প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের সুবিধা দিতে রাজি রাজ্য। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তহবিল সরাসরি রাজ্য সরকারকে দেওয়া হোক। রাজ্যই দায়িত্ব নিয়ে তার প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় উপভোক্তার হাতে আর্থিক সুবিধা পৌঁছে দেবে।

আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের নিয়ে কুমিরের কান্না কাঁদবেন না, তোপ রাজ্যপালের

প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে সরাসরি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা দেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের উদ্দেশে মমতার আর্জি, আয়ুষ্মান প্রকল্পে খরচের পুরোটা কেন্দ্রই বহন করুক। প্রকল্পের পুরো বরাদ্দ রাজ্য সরকারের মাধ্যমেই খরচ করা হোক।

প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান প্রকল্প বাংলায় বাস্তবায়িত হয়নি। পরিবর্তে বাংলায় কৃষক বন্ধু প্রকল্প শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইভাবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বাংলায় চালু করতে দেননি তিনি।

কারণ, তাঁর বক্তব্য ছিল বাংলায় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প তিনি শুরু করেছেন। সেই প্রকল্প বাবদ গরিব পরিবারগুলি চিকিত্‍সার খরচ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। কেন্দ্রের সরকার রাজ্যের প্রকল্পের টুকলি করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শর্তকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইট করে বলেন, ‘পিএম কিষাণ হল চাষির অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর পোক্ত ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা। এখানে কাটমানিও নেই, মধ্যস্থতাভোগীও নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এর এজেন্ট হতে চায় কেন? হায় ভগবান! ঘোলা জলে মাছ ধরার সুযোগ খুঁজছে কি?’

সুত্র:কলকাতা24×7

আরও পড়ুন ::

Back to top button