টিএমসিপি-র জেলা সভাপতির পদ পেয়েই কলেজ অধ্যক্ষকে প্রণাম করতে গেলেন আর্য ঘোষ
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: পদ পেয়েই কলেজে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে প্রণাম করলেন ছাত্রনেতা! ছাত্রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. দেবনারায়ণ রায় বললেন, ‘‘আরও বড় হও।’’ ছাত্রটি হলেন টিএমসিপি-র নয়া ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি আর্য ঘোষ।
একসময় ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের ছাত্র ছিলেন আর্য। তখন দেবনারায়ণবাবু ছিলেন কলেজের অধ্যাপক। এখন তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ছাত্রসংগঠন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের চিরকালীন দ্বৈরথের আবহের মাঝে এমন ছকভাষা ছবি দেখে সকলেই বলছেন, ‘আর্য একেবারে অন্যরকম!’ ঠাণ্ডা মাথার সুদর্শন সপ্রতিভ তরুণ নেতা আর্য ঘোষের উত্তরণ ঘটল ঝাড়গ্রাম জেলার ছাত্র-রাজনীতিতে।
এতদিন টিএমসিপি-র আলঙ্কারিক পদ রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন আর্য। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জেলা তৃণমূলের নেতারা জানালেন, টিএমসিপি-র নতুন জেলা সভাপতি করা হয়েছে আর্যকে। বিদায়ী সভাপতি সত্যরঞ্জন বারিক তৃণমূলের জেলা সাংগঠনিক কমিটির ১২ জন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে অন্যতম হয়েছেন।
আরও পড়ুুন: চ্যাম্পিয়নদের কাছে পাত্তাই পেল না কেকেআর
এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের অনন্যা অতিথিশালায় সাংবাদিক বৈঠকে আর্যের নাম ঘোষণা হতেই বাইরে উল্লাসে ফেটে পড়েন টিএমসিপি-র সদস্যরা। সংগঠনের ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ ও মানিকপাড়া কলেজ ইউনিটের পক্ষ থেকে আর্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তবে আর্য যে টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি হচ্ছেন সেটা আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। গত ৪ সেপ্টেম্বর ফাঁস হওয়া জেলা তৃণমূলের প্রাথমিক সাংগঠনিক তালিকায় আর্যের নাম ছিল ছাত্রসংগঠনের জেলা সভাপতি হিসেবে। সত্যরঞ্জনের বয়স বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সরে যাওয়া অনিবার্য ছিল।
ছাত্র সংগঠন থেকে দলীয় রাজনীতিতে উত্তরণ ঘটেছে সত্যরঞ্জনের। অন্যদিকে, কলেজগুলির নির্বাচনের আগে আর্যের এই দায়িত্বপ্রাপ্তি শুধু ছাত্র রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এমন মনে করা হচ্ছে না। তৃণমূলের কেউ কেউ বলছেন, আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে চলেছেন আর্য। এদিন নাম ঘোষণার পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে গিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন টিএমসিপি-র নয়া জেলা সভাপতি।