ঝাড়গ্রাম

‘১০ মিনিটের বেশি দাঁড়াবেন না’, পোস্টার ঝুলিয়ে মক্কেলদের আর্জি আইনজীবীর

‘১০ মিনিটের বেশি দাঁড়াবেন না’, পোস্টার ঝুলিয়ে মক্কেলদের আর্জি আইনজীবীর

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: সেরেস্তায় জোড়া মাস্ক পরে বসে রয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী সুমন দাস মহাপাত্র। চারিদিকে দড়ি দিয়ে ঘেরা, যাতে ভিতরে কেউ ঢুকে পড়তে না পারেন! সেই দড়িতে ঝুখলছে পোস্টার। তাতে কম্পিউটার প্রিন্টে বড়-বড় অক্ষরে লেখা, ‘মাস্ক ব্যবহার করুন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

ছ’ফুট সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনটেন করুন, দশ মিনিটের বেশি দাঁড়াবেন না’। করোনা থেকে বাঁচতে ঝাড়গ্রাম আদালতের প্রবীণ আইনজীবী সুমনবাবু নিজের সেরেস্তায় এমন ব্যবস্থা চালু করেছেন। ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বেশ কিছু পুলিশ কর্মী, সরকারি গাড়ির চালক, স্বাস্থ্য আধিকারিক, প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিরাপত্তা রক্ষী করোনায় আক্রান্ত।

ঝাড়গ্রাম আদালতের এক আইনজীবীও করোনায় আক্রান্ত হয়ে করোনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কোনও রকম ঝুঁকি নিচ্ছেন না সুমনবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘নিজে এবং অপরকে সুস্থ রাখার তাগিদে এমন ব্যবস্থা চালু করেছি। সেরেস্তায় ভিড় হতে দিচ্ছি না।’’

আরও পড়ুুন: আমায় ঝুলন্ত অবস্থায় পেলে বুঝবেন আত্মহত‍্যা করিনি : পায়েল

করোনা নিয়ে অবশ্য সবাই সুমনবাবুর মতো সচেতন নন। এখনও কিছু লোকজন মাস্ক না পরে রাস্তায় ঘুরছেন। সামাজিক দূরত্বের বিধি শিকেয় তুলে সান্ধ্য আড্ডাও বসছে পাড়ায়-পাড়ায়। এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের জন্য গোষ্ঠী সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

তবে সুমনবাবুর সেরেস্তার করোনা বিধি নিয়ে শহর জুড়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে আদালতে গিয়ে দূর থেকে সুমনবাবুর সেরেস্তা দেখে আসছেন। তাঁর মক্কেলরাও বলছেন, ‘‘উকিলবাবু এখন তাঁর সেরেস্তায় করোনা স্বাস্থ্যবিধি কড়া ভাবে মেনে কাজকর্ম করছেন।

এমন নিয়ম পালনে সবার ভাল হবে।’’ তবে কী করলে যে ভাল হবে, সে কথা সবাই যদি বুঝতেন, তাহলে অনেক আগেই হয়তো করোনার সংক্রমণে লাগাম পরানো যেত। সেই সঙ্গে করোনা নিয়ে রাখঢাক না করে প্রশাসন যদি প্রকৃত চিত্রটা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতেন, তাহলে হয়তো করোনায় একতের পর এক মৃত্যুর ঘটনার সাক্ষী থাকতে হতো না ঝাড়গ্রামবাসীকে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button