ঝাড়গ্রাম

‘নিষ্ক্রিয়’ দলীয় কর্মীদের মান ভাঙাতে রিংকা-গোবিন্দের যুগলবন্দি

‘নিষ্ক্রিয়’ দলীয় কর্মীদের মান ভাঙাতে রিংকা-গোবিন্দের যুগলবন্দি

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: সদ্য তৃণমূলের জেলা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন পুরনো দিনের দলীয় কর্মী রিংকা মুখোপাধ্যায়। ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর গোবিন্দ সোমানিরও গুরুত্ব বেড়েছে শাসকদলে। শহর তৃণমূলের সহ-সভাপতি হয়েছেন গোবিন্দ। বিধানসভা ভোটের আগে ঝাড়গ্রাম শহর ও জেলার ৮টি ব্লকে সব পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে পদাধিকারীদের তালিকা দীর্ঘ হয়েছে।

বড় সংসার নিয়েই আগামী বিধানসভাকে পাখির চোখ করে দলীয় কর্মসূচি শুর করে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। শনিবার রিংকা ও গোবিন্দ জনসংযোগ শুরু করে দিলেন। ঝাড়গ্রাম শহরের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দফায় দফায় পুরোদস্তুর বৈঠক করলেন।

নিষ্ক্রিয় কর্মীদের মান-অভিমান ভুলে দলের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করলেন দুই নেতা। রিংকা ও গোবিন্দ এদিন কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের শিক্ষা নিয়ে ২০২১-এর সবুজ জঙ্গলমহল উপহার দিতে হবে নেত্রীকে।” রিংকা কর্মীদের বলেন, ‘‘আপনারাই দলের সম্পদ।

আপনারাই ভোটলক্ষ্মীকে দলের অনুকুলে নিয়ে আসার কাজ করেন। কে ডাকল, কে ডাকল না, এসব ভেবে অভিমান করে বসে থাকবেন না। কারণ, নেত্রীর কাছে আপনাদের গুরুত্ব সবার আগে।’’ এমন কথা শুনে এদিন অভিভূত হয়ে পড়েন কর্মীরা।

আরও পড়ুুন: অক্টোবরে খুলে যাচ্ছে রাজ্য়ের সিনেমা হলগুলি, বড় ঘোষণা মুখ্য়মন্ত্রীর

১ নম্বর ওয়ার্ডের কদমকানন ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেশন পাড়ায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এলাকাবাসীর খোঁজ খবর নেন রিংকা ও গোবিন্দ। সঙ্গে ছিলেন দলের কর্মীরাও। রিংকা বলেন, ‘‘সবাই মিলে আমরা দলীয় কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি।

সবাইকে নিয়ে এদিন থেকে বাড়ি-বাড়ি জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করলাম।’’ এদিন রিংকা ও গোবিন্দের সঙ্গে ছিলেন গণেশ পাল, সৌরভ কর, অসিত দণ্ডপাট, মিন্টু সাহু, চিরঞ্জিত নন্দী সহ দলের বহু নেতা-কর্মী। রিংকা বহুদিন তৃণমূল করছেন। কিন্তু দলে যোগ্য সম্মান পাননি।

রাজ্য তৃণমূলের নেতারা রিংকার নামের সঙ্গে পরিচিত। সূত্রের খবর, দলের পদাধকারীদের তালিকা তৈরির সময়ে রিংকাকে জেলা কমিটিতে রাখার ব্যাপারে সওয়াল করেছিলেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। অন্যদিকে, করোনা কালে নিজে আক্রান্ত হয়েও গোবিন্দ যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সে ব্যাপারে অবহিত ছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন ::

Back to top button