মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ভেনেজুয়েলায় ইরানি ট্যাংকার
জ্বালানি সংকটে থাকা ভেনেজুয়েলার জন্য পাঠানো তেলবাহী তিন ট্যাংকারের প্রথমটি সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) লাতিন আমেরিকান দেশটির জলসীমায় প্রবেশ করেছে। তেহরান ও কারাকাসের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এই ট্যাংকারগুলো পাঠালো ইরান।
ওপেকের দুই সদস্য এ বছর জ্বালানি, খাদ্য, পরিশোধিত সরঞ্জাম ও শিল্প পণ্য আদান প্রদান বাড়িয়েছে। এরই অংশ হিসেবে জ্বালানি সংকটে থাকা ভেনেজুয়েলাকে সহযোগিতা করছে ইরান। সমুদ্রে জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘রেফিনিটিভ এইকন’ বলেছে, ইরানি পতাকাবাহী জাহাজ ‘ফরেস্ট’ মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল নিয়ে আটলান্টিক ও ক্যারিবিয়ান সমুদ্রপথে কোনও ধরনের অসুবিধা ছাড়াই সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভেনেজুয়েলার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। জাহাজটিতে দুই লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল তেল আছে বলে ইরানি সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আরও পড়ুুন: নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করলেন বাবা
অন্য দুটি তেলবাহী ট্যাংকার ‘ফ্যাক্সন’ ও ‘ফরচুন’ একই পথ ধরে বর্তমানে আটলান্টিক পাড়ি দিচ্ছে। আগামী মাস অক্টোবরের শুরুর দিকে ওই দুটি ট্যাংকারও ভেনেজুয়েলার জলসীমায় পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুটি দেশের ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এই জাহাজগুলোর চলাচলে কোনও বাধা তৈরি করেনি ওয়াশিংটন। গত জুলাইয়ে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কয়েকটি ইরানি কার্গো জব্দ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই তেলগুলো শিগগিরই নিলামে তোলা হবে।
সর্বশেষ ভেনেজুয়েলায় পাঠানো এই তিন জাহাজে মোট আট লাখ ২০ হাজার ব্যারেল তেল ও তেলজাত পণ্য রয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল ও মে মাসে ইরানের পাঁচটি তেল ট্যাংকার ভেনেজুয়েলায় গিয়েছিল।
