জাতীয়

পরিবারের সম্মতি ছাড়াই সেই ধর্ষিতার লাশ দাহ পুলিশের

পরিবারের সম্মতি ছাড়াই সেই ধর্ষিতার লাশ দাহ পুলিশের

গণধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সেই দলিত তরুণীর শেষকৃত্য গভীর রাতে সম্পন্ন করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের বাইরে রেখে তাদের অনুমতি ছাড়াই শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে পুলিশ। এই পদক্ষেপকে অমানবিক আখ্যা দিয়ে পুলিশের ব্যাখ্যা দাবি করেছেন অ্যাকটিভিস্টরা। খবর-বিবিসি।

উচ্চবর্ণের পুরুষদের আক্রমণের শিকার হওয়া ওই নারীর জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব হয়ে উঠেছে দেশের বহু মানুষ।

১৯ বছর বয়সী ওই দলিত তরুণী মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে উচ্চ বর্ণের চার পুরুষের বর্বরতার শিকার হয়েছিলেন। গুরুতর আহত ওই তরুণী দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

অভিযুক্ত চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ; বিচারিক কার্যক্রম শুরু করতে একটি দ্রুত বিচার আদালতও গঠন করা হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ করা হয়।

আরও পড়ুন : বাবরি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবে মুসলিম সংগঠন

স্থানীয় সাংবাদিক অভিষেক মাথুর জানান, মৃতদেহ দাহ করার সময় পুলিশ ওই তরুণীর পরিবারের সদস্য ও গণমাধ্যমকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। অভিষেক নিজেও দূরে দাঁড়িয়েই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখেন।

তরুণীর মরদেহ মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। তার ভাই জানান, মৃতদেহ নিয়ে আসার পরপরই পুলিশের কর্মকর্তারা পরিবারের সদস্যদের উপর যত দ্রুত সম্ভব মৃতদেহ সৎকারের জন্য চাপ দিতে থাকেন।

প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অবশ্য তরুণীর ভাইয়ের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, মৃতদেহ নেওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের সম্মতি নেওয়া হয়েছিল।

অভিষেক জানান,শেষকৃত্যের আগে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে কিছু আচার পালন করতে চেয়েছিলেন তার মা, কিন্তু তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়।

আরও পড়ুন : বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় ৩২ জন অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস

নির্যাতিতা তরুণীর ভাই বলেন, ‘পুলিশের কোনো কোনো সদস্য তাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণও করে। তিনি বলেন, আমাদের অনুমতি ছাড়াই তারা মরদেহ নিয়ে যায় আর আমার বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়াই তার মরদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। এমনকি আমরা তাকে শেষ দেখা দেখতে পাইনি।’

মরদেহ দেখতে দেওয়ার দাবিতে তারা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ সদস্যরা তাদের মারপিঠ করে বলেও অভিযোগ করেন ওই তরুণীর ভাই। ওই সময়ে পরিবারের নারী সদস্যদেরও মারপিঠ করা হয় বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button