আন্তর্জাতিক

কল্পনা চাওলার নামে বিশেষ স্পেসক্রাফট

কল্পনা চাওলার নামে বিশেষ স্পেসক্রাফট

প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন কল্পনা চাওলা। কিন্তু ফেরা হয়নি। মহাকাশ অভিযানে গিয়েই মৃত্যু হয় তাঁর। এবার তাঁর স্মৃতিতে তাঁর নামাঙ্কিত স্পেসক্রাফট ওড়াল নাসা।

মহাকাশে মানব অভিযানের বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মান দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার রাতে সেই মহাকাশযান উড়ে গিয়েছে। এটি পাঠানো হয়েছে ইন্টারন্যশনাল স্পেস স্টেশনে।

এসএস কল্পনা চাওলা নামে ওই স্পেসক্রাফট নাসার ওয়ালপ ফ্লাইট ফেসিলিটি থেকে উড়িয়ে গিয়েছে স্থানীয় সময় রাত ৯ টা ৩৮ মিনিটে। দু’দিন পর এটি স্পেস স্টেশনে পৌঁছবে। এটি একটি কার্গো স্পেসক্রাফট। অর্থাত্‍ এতে কিছু জিনিস পাঠানো হচ্ছে মহাকাশচারীদের জন্য। মোট ৩৬৩০ কেজি জিনিস যাচ্ছে এই স্পেসক্রাফটে।

এতে রয়েছে একটি গাছ যা ভবিষ্যতে মহাকাশে ফসল ফলানোর গবেষণায় ব্যবহার করা হবে। এছাড়া রয়েছে মহাকাশচারীদের জন্য তৈরি একটি বিশেষ টয়লেট। রয়েছে একটি ৩৬০ ডিগ্রি ভার্চুয়াল ক্যামেরা যা স্পেসওয়াকের সময় ব্যবহার করা হবে।

নাসার প্রজেক্ট ম্যানেজার মেলিসা ম্যাককিনলে জানান, বর্তমানে যে টয়লেট ব্যবহার করা হয়, তার তুলনায় এটি ৬৫ শতাংশ ছোট ও ৪০ শতাংশ হালকা।

আরও পড়ুন: করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে ট্রাম্পের

২০০৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল সেই ভয়বাহ দুর্ঘটনা। মিশন সফল হওয়ার পর ফিরছিলেন কল্পনা ও তাঁর সঙ্গীরা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরই তাঁদের মহাকাশযান ভেঙে পড়ে। সেই মহাকাশযানের ধংসাবশেষ ও যাত্রীদর দেহাবশেষ টেক্সাসে পাওয়া গিয়েছিল। ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। মিশন সফল হলেও পৃথিবীতে আর ফিরে আসতে পারেননি কল্পনা ও তাঁর সঙ্গীরা।

১৯৬২ সালে হরিয়ানার কর্নেলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কল্পনা। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সব থেকে ছোট। পাঞ্জাব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার পর ১৯৮২ সালে তিনি আমেরিকায় পাড়ি দেন। নিজের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবের রূপ দিতে চেয়েছিলেন কল্পনা।

আর তাই নাসা-য় যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। নাসা-র রিসার্চ সেন্টারে যোগ দিয়েছিলেন কল্পনা। এর পর ১৯৯৫ সালে তিনি নাসার মহাকাশযাত্রীদের কোর টিম-এ সামিল হন তিনি। আট মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১৯৯৭ সালে প্রথমবার মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন।

সূত্র: কলকাতা24×7

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button