ট্রাম্পের করোনায় নির্বাচনের কী হবে?
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ৩২ দিন আগে ট্রাম্পের করোনা মার্কিন রাজনীতিতে নতুন সংকট তৈরী করছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এখন কোয়ারেনটিনে থাকতে হবে। চিকিৎসা নিতে হবে। তার নির্বাচনী সমাবেশে যাওয়ার কোন সুযোগই আর নেই। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা যে আজকে থেকে নাটকীয়ভাবে পাল্টে গেল, এটা নিয়ে কারও কোন সন্দেহ নেই। এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে যে তার নির্বাচনী সমাবেশগুলো বন্ধ রাখতে হবে, তিনি যে আর আগের মতো সবকিছু করতে পারবেন না, সেটা তার উপদেষ্টারাও স্বীকার করছেন।
আজ (শুক্রবার) রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের থাকার কথা অরল্যান্ডোর এক নির্বাচনী সভায়। এই সপ্তাহান্তে যাওয়ার কথা উইসকনসিন। এসব সমাবেশ এখন আর সামনাসামনি হওয়ার সুযোগ নেই।
দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনের মধ্যে দ্বিতীয় টেলিভিশন বিতর্ক হওয়ার কথা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন উপদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এমন হতে পারে যে, কোয়ারেনটিনে থাকা প্রেসিডেন্ট সামনাসামনি বিতর্কের পরিবর্তে ভার্চুয়াল বিতর্কে অংশ নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: কল্পনা চাওলার নামে বিশেষ স্পেসক্রাফট
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে অবাধে মেলা-মেশা করেছেন, বড় বড় নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন, সেটি নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ ছিল।
মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীতে বলা আছে অসুস্থতার কারণে প্রেসিডেন্ট অক্ষম হয়ে পড়লে দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। সুতরাং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু হলে, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকেই তার জায়গা নিতে হবে, সেজন্য তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হলে হয়তো তাকে অল্প কিছুদিনের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে।
কিন্তু যদি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন, তখন সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের জন্য এর পরেই আছেন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।