Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
জাতীয়

ভারতীয়দের মধ্যে জিনগত পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে মৃত্যুর হারে এত পার্থক্য

ভারতীয়দের মধ্যে জিনগত পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে মৃত্যুর হারে এত পার্থক্য

কোভিড–১৯ সংক্রমণে ভারতের মৃত্যুর হারে প্রতিদিনই পার্থক্য দেখা দিচ্ছে। তবে এর জন্য কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী নয়। বরং ভারতীয়দের মধ্যে জিনগত পরিবর্তন ঘটছে বলেই সম্ভবত মৃত্যুর হারে পার্থক্য দেখা দিচ্ছে।

একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিল উত্তরপ্রদেশের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল। তারা এই আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে।

তাদের গবেষণায় জিনগত পরিবর্তনকে দায়ী করে বলা হয়েছে, অ্যাঞ্জিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম ২ (এসিই–২) একটি প্রোটিন যা মানবদেহে কোষের বাইরে থাকে। আর সেখানে দিয়েই করোনার সংক্রমণ প্রবেশ করছে দেহে।

এসিই–২ এক্স ক্রোমোজোমকে চিহ্নিত করে। জিনেটিক্স ইন ফ্রন্টিয়ার্স জার্নালে গবেষকরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন। এটাকে আরএস ২২৮৫৬৬৬ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা অটল টানেলের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক জ্ঞানেশ্বর চৌবে জানান, যে চিহ্নিত পার্থক্যগুলো পাওয়া গিয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে করোনাভাইরাস মানুষের সংবেদনশীলতা হ্রাস করে। সংবাদসংস্থা পিটিআই–কে তিনি জানান, যদি কোনও অঞ্চলে হ্যাপ্লোটাইপযুক্ত আরও লোক থাকে তবে ভাইরাসের সংক্রমণ সম্ভবত কম হবে।

পশ্চিম ভারতের লোকেরা এই রোগের জন্য অনেক বেশি সংবেদনশীল মধ্য ভারত, পূর্ব ভারত, দক্ষিণ ভারত বা উত্তর–পূর্ব ভারতের তুলনায়।

গবেষকদের মতে, মহামারী নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নীতি গ্রহণ করতে হবে। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এক নিয়ম সমস্ত রাজ্যের ক্ষেত্রে কার্যকর নাও হতে পারে। ভারত–বাংলাদেশের উপজাতি মানুষের মধ্যে হ্যাপ্লোটাইপের ক্ষমতা বেশি।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button