বাইক-ট্যাক্সিতে বাড়ি ফেরার পথে যুবতীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালকের
সারা দেশ এখন উত্তপ্ত হাসরথের ধর্ষণের ঘটনায়। হাসরথে ১৯ বছর বয়সী মনীষা বাল্মীকিকে গণ-ধর্ষণ করা হয়। কেটে নেওয়া হয় তাঁর জীব। শিরদাঁড়া পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। শেষ লড়াই লড়ে উঠতে পারেনে অসহায় দলিত কন্যা। তাঁর মৃতদেহ রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
হয়নি কোনও তদন্ত। এ ঘটনায় জ্বলছে ভারতবর্ষ। ফের একবার নির্ভয়ার থেকেও ভয়াবহ ঘটনায় হতবাক সকলে। কি করে ঘটতে পারে একই ঘটনা বার বার। এর কি কোনও শেষ নেই ? ধর্ষণের মানসিকতা সত্যিই কি বদলাবে না ! এর কোনও উত্তর হয়ত সত্যিই নেই। কারণ কোনও ঘটনা থেকেই মানুষ শিক্ষা নিচ্ছে না।
কয়েক দিন আগেই কলকাতায় এক ভয়ানক ঘটনার মুখে পড়তে হয়েছিল এক ২৬ বছরের যুবতীকে।
আরও পড়ুন: সাত সকালে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ, চাঞ্চল্য ছড়ালো গোটা এলাকায়
অফিসের কাজ সেরে বেহালার বাড়িতে ফেরার জন্য কসবা থেকে বাইক-ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন ওই যুবতী। মাঝ রাস্তায় বার বার ব্রেক কষতে থাকে চালক। এর পর রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ওই যুবতীর শ্লীলতাহানি করে ওই চালক এবং পালিয়ে যায়। এর পর থানায় অভিযোগ জানায় যুবতী ও তাঁর পরিবার। এর পরই আজ শনিবার তিলজলা এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চালক আদতে কোথাও কাজ করে না। সে দু’বছর আগে চাকরি ছেড়ে দেওয়া এক কর্মীর আইকার্ড কাজে লাগিয়ে বাইক-ট্যাক্সি চালাচ্ছিল। এবং এই ধরণের অসত্ কাজ সে মাঝে মধ্যেই করত। কঠিন শাস্তির আবেদন করা হবে ওই ব্যক্তির। ভয়াবহ এই ঘটনায় এবার রাতের বেলা কোনও প্রাইভেট গাড়িতে উঠতেই ভয় হবে। তবে কি করে দিন-দুপুরে এভাবে এই কাজ করছিল সে? তাঁর তদন্ত চলছে।
দেশে জুড়ে মানুষ আওয়াজ তুলছে। অথচ শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন যেন কমতেই চাইছে না ! কবে চেতনা হবে মানুষের ! অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। পুলিশও ওই ব্যক্তির কঠোর শাস্তি হবে বলে জানিয়েছে। এবং ওই ২৬ বছরের যুবতী অপরাধীকে শনাক্তও করেছেন।
সূত্র: News18