আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের অবস্থা গুরুতর ছিল, স্বীকার করল হোয়াইট হাউস

ট্রাম্পের অবস্থা গুরুতর ছিল, স্বীকার করল হোয়াইট হাউস

হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস বলেছেন, গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কর্মকর্তারা যা বলেছিলেন, তার অবস্থা আসলে এর চেয়েও বেশি খারাপ ছিল।

ওইদিন ট্রাম্পের জ্বর ছাড়াও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমে গিয়েছিল। যে কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শে ট্রাম্পকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালে যাওয়ার পর ট্রাম্পের অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং আগের দিনের তুলনায় শনিবার প্রেসিডেন্টের অবস্থার বেশ খানিকটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিডোস।

ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিডোস এসব কথা জানান। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে মিডোসের এই সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর এক টুইটে ট্রাম্প নিজেই তার এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছিলেন।

শরীরে রোগের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করায় পরদিন ৭৪ বছর বয়সী ট্রাম্পকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বয়স এবং বাড়তি ওজনের কারণে তিনি এ রোগে ঝুঁকিপূর্ণদের কাতারে পড়েছেন।

কিন্তু হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বারবারই বলছিলেন, ট্রাম্প ভাল আছেন। তার উপসর্গ মৃদু। তিনি মানসিক ভাবে চাঙ্গা আছেন এবং দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। টুইট করে এবং ভিডিও পোস্ট করে ট্রাম্প নিজেও বারবার বলেছেন, তিনি ভাল আছেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বিপাকে শিক্ষিকা

কিন্তু তাকে নিয়ে কর্মকর্তাদের দ্বেগের কমতি ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ‍মাসখানেক আগে ট্রাম্পের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় অনেকগুলো প্রশ্নেরও জন্ম হয়েছে। তাই তার শারীরিক অবস্থা আসলেই কেমন আছে গোটা বিশ্বই তা জানতে চায়।

এরই মধ্যে মিডোসের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য গত দুইদিন ধরে ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের প্রকৃত অবস্থা নিয়ে নানা গুঞ্জন এবং অস্বচ্ছতার কিছুটা হলেও অবসান ঘটিয়েছে।

ফক্স নিউজকে মিডোস বলেন, ‘‘তার (ট্রাম্প) এখন জ্বর নেই, আমার মনে হয় এটিই এখন বলার মত সবচেয়ে বড় খবর। তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও এখন বেশ ভাল।”

‘‘গতকাল সকালে আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে সত্যিই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। প্রেসিডেন্টের জ্বর ছিল এবং তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমে যাচ্ছিল। তারপরও তিনি বরাবরের মত উজ্জিবীত ছিলেন এবং হাঁটাহাঁটি করেছেন।”

ওয়াল্টার রিড মেডিকেল সেন্টার এবং জন্স হপকিন্সের চিকিৎকদের পরামর্শে ট্রাম্পকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান মিডোস।

তিনি বলেন, ‘‘গতকালের তুলনায় তার অবিশ্বাস্য উন্নতি হয়েছে। আমি জানি আমাদের অনেকে, চিকিৎসক এবং আমি তাকে নিয়ে ‍খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম।”

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button